Advertisement
১৮ মে ২০২৪

সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত কৃতীরা

মাধ্যমিকে কৃতীদের সংবর্ধিত করল প্রশাসন। শুক্রবার মেদিনীপুর (সদর) মহকুমার চার কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেন মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত।এ দিন দুপুরে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়েই মহকুমাশাসকের দফতরে আসে কৃতী ছাত্রছাত্রীরা। এখানেই তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কৃতীদের হাতে পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন অমিতাভবাবু।

এসডিও অফিসে কৃতীদের সম্মান জানালেন সদর মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত। (বাঁ দিক থেকে) শ্রুতি সিংহ মহাপাত্র, সৈকত সাউ, সৌর্য্য মজুমদার।  ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

এসডিও অফিসে কৃতীদের সম্মান জানালেন সদর মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত। (বাঁ দিক থেকে) শ্রুতি সিংহ মহাপাত্র, সৈকত সাউ, সৌর্য্য মজুমদার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

মাধ্যমিকে কৃতীদের সংবর্ধিত করল প্রশাসন। শুক্রবার মেদিনীপুর (সদর) মহকুমার চার কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেন মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত।

এ দিন দুপুরে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়েই মহকুমাশাসকের দফতরে আসে কৃতী ছাত্রছাত্রীরা। এখানেই তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কৃতীদের হাতে পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন অমিতাভবাবু। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ইচ্ছের কথা জানায়। জানায় পছন্দ-অপছন্দের কথা। মহকুমাশাসকও তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে কিছু পরামর্শও দেন। অমিতাভবাবু বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। কখনও স্বপ্ন পূরণ হয়, কখনও হয় না। তবে তোমরা কখনও হতাশ হবে না।”

বৃহস্পতিবারই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। মেদিনীপুর মহকুমায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে সৈকত সাউ। প্রাপ্ত নম্বর ৬৭০। সৈকত মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। সম্ভাব্য দ্বিতীয় হয়েছে শ্রুতি সিংহমহাপাত্র। অলিগঞ্জ গার্লসের এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৯। যুগ্ম ভাবে সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে সৌর্য্য মজুমদার এবং সৃজিতা বিদ। প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৮। সৌর্য্য মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র আর সৃজিতা অলিগঞ্জ গার্লসের ছাত্রী। প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃতীদের উৎসাহিত করতেই তাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অমিতাভবাবুর সঙ্গে আলাপচারিতায় সৈকত জানায়, সে ভবিষ্যতে চিত্র পরিচালক হতে চায়। সাধারণত কৃতী ছাত্রছাত্রীরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। রামকৃষ্ণ মিশনের এই ছাত্রের ইচ্ছেটা একটু অন্য রকম জেনে মহকুমাশাসক তাকে উৎসাহ দেন। সৈকতের সঙ্গে এসেছিলেন তার মা জয়ন্তী সাউ। মহকুমাশাসক জয়ন্তীদেবীর কাছ থেকে জানতে চান, “ছেলেকে ছবি পরিচালনা করতে দেবেন তো?” সৈকতের মা বলেন, “ছেলের যা ইচ্ছে, তাই হবে। আমাদের আপত্তি নেই।” সময় পেলে কবিতার বই পড়তে ভালবাসে সৈকত। গানও শোনে। শ্রুতি জানায়, সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। সময় পেলে গল্পের বই পড়ে। সৃজিতার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। মহকুমাশাসক তখন বলেন, “ডাক্তার তো হবে। গ্রামে গিয়ে কাজ করবে তো?” সৃজিতার উত্তর, “অবশ্যই করব।” অন্যদিকে সৌর্য্য রসায়নবিদ্যায় গবেষণা করতে চায়। ছাত্রছাত্রীদের এ ভাবে উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকেরা অমিতাভবাবুকে কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁদের কথায়, “আপনি এ ভাবে নিজের দফতরে ডেকে ফুল- মিষ্টি দিলেন। আমরা সত্যিই আনন্দিত। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।” মহকুমাশাসক বলেন, “ধন্যবাদ তো আপনাদের প্রাপ্য। আপনারা পাশে না থাকলে, সব রকম সহযোগিতা না করলে, ওরা কী একার চেষ্টায় এই রেজাল্ট করতে পারত?

জেলাশাসক বলেছিলেন। তাই এই আয়োজন করি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

madhyamik result felicitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE