পঞ্চায়েত নির্বাচন তাঁর প্রথম বড় পরীক্ষা। তিনি জানেন, পরীক্ষায় ভাল ফল হতে পারে দলীয় কর্মীরা পাশে থাকলেই। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা করতে জেলাওয়াড়ি সফরে নামতে চলেছেন মুকুল রায়। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রস্তাবিক ওই যাত্রাকে আজ সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর ছাড়পত্র পান মুকুলবাবু।
মুকুল শিবির জানিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর ওই যাত্রা শুরু হওয়ার কথা সাঁইথিয়া থেকে। বীরভূম থেকে শুরু হয়ে তারপর গোটা এক মাস ধরে সব ক’টি জেলায় সফর করবেন তিনি। যা শেষ হবে কলকাতায়, ২৩ জানুয়ারিতে। ঘনিষ্ঠ মহলে মুকুলের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগদান করতে ইচ্ছুক। তারা মুকুলবাবুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। তাদের পাশে দাঁড়াতে ও তৃণমূলকে পঞ্চায়েতের আগে বড়সড় ধাক্কা দিতেই ওই রাজ্যওয়াড়ি সফরের পরিকল্পনা করেছেন মুকুলবাবু। এই এক মাসের সফরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট সাতটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকুল। যেখানে দিল্লি থেকে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের থাকার কথা। একটি জনসভায় থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহও।
সফরে প্রচারের মুল সুরটি বিবেকানন্দ-রামকৃষ্ণ ও নেতাজিকে সামনে রেখে হবে। মুকুল শিবিরের দাবি, অস্ত্র মিছিলের পরিবর্তে মুকুলবাবু এতে অনেক স্বচ্ছন্দ। তিনি মনে করেন, বিবেকানন্দ বা নেতাজির মতো ব্যক্তিত্বদের সামনে রেখে প্রচার করলে ভোটারদের ছোঁয়াঅনেক বেশি সহজ। তাই আগামী এক মাস রাজ্যের সর্বত্র বিবেকানন্দের কাট আউট, ব্যানার, হোর্ডিং দিয়ে ছেয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন মুকুলবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy