ফাইল চিত্র।
তদন্তে নেমে সিআইডি-র প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পিত ভাবেই আগুন লাগানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ আয়োজিত পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আতঙ্ক ছড়িয়ে এবং পরিকল্পনা করে হাসপাতালে লোকগুলোকে মারা হয়েছে। সিআইডির প্রাথমিক রিপোর্টে তাই পেয়েছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য শনিবার আগুন লাগার পরেই ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখেছিলেন। বিধানসভার প্রেস কর্নারে সোমবার জানিয়েওছিলেন, ‘কিছু করতে না পারার হতাশা’ থেকেই একটি রাজনৈতিক দল ওই হাসপাতালে আগুন লাগিয়েছে। যা শুনে
বিরোধীরা দাবি করেছিল, ষড়যন্ত্রের কথা বলে তদন্তের অভিমুখ বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সিআইডি-র প্রাথমিক রিপোর্টেও সে কথা বলার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা রেখে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বৃত্ত সম্পূর্ণ করল সিআইডি!’’
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বেই সোমবার অমল গুপ্ত নামে এক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।
তবে, মঙ্গলবারও অসুস্থতার কারণে তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে অমলকে লালবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। অমলের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ জানান, এ দিন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ইন্দ্রজিৎ দেবের এজলাসে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁরা। তবে বিচারক তা নাকচ
করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, সকালে হাসপাতালেই অমলের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন অধীর। মিনিট পনেরো তাঁর সঙ্গে কথা বলে অধীর বলেন, ‘‘আমরা জানি কেন অমলকে ফাঁসানো হয়েছে। কংগ্রেসকে জড়িয়ে দিতে না পারলে নিজের অপদার্থতা ঢাকবেন কী
করে মুখ্যমন্ত্রী!’’
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে তিন জনের মৃত্যুর জেরে মঙ্গলবার একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে কলকাতার আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে ৯০ জনেরও বেশি রোগী ও নার্সের মৃত্যুর জেরে রাজ্যের সব নার্সিংহোম ও হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপনের নির্দেশিকা তৈরি করেছিল দমকল। রাজ্যের সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোম সেই নির্দেশিকা মেনেছে কি না, হাইকোর্ট তা খতিয়ে দেখুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy