প্রতীকী ছবি।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধু সংখ্যাগত মান যাচাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের গুণগত মানও এ বার গুরুত্ব পাবে কেন্দ্রীয় মূল্যায়নে। দেশের যাবতীয় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যারা যাচাই করে, সেই ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক) এ ভাবেই নিজেদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে।
নাকের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে মঙ্গলবার নিউ টাউন উচ্চশিক্ষা সংসদে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মশালার উদ্বোধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নাকের চেয়ারম্যান ভূষণ পটবর্ধন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রমুখ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা চাই, রাজ্য সরকারের অধীন সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ই নাকের মূল্যায়নের আওতায় আসুক।’’ এই রাজ্যে নাকের মূল্যায়নের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নাক-প্রধান পটবর্ধন। প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাদবপুর যে তার মান বজায় রেখেছে, সে-কথাও বলেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সংসদের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সহায়তায় ছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং নাক।
নাকের মূল্যায়নের পদ্ধতির নতুন খসড়া তৈরিতে যে-সব শিক্ষাবিদের ভূমিকা রয়েছে, সুরঞ্জন তাঁদের অন্যতম। এ দিন তিনি জানান, আগে সংখ্যাগত দিক থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মান নির্ধারণ করা হত। এখন এর সঙ্গে গুণগত মানকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের গুণগত মান কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, দেখা হবে তা-ও। তিনি জানান, মূল্যায়ন হবে দু’ধরনের। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নের পাশাপাশি ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে-সব বিষয় পড়ানো হয়, আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করা হবে তারও। এ দিনের কর্মশালায় বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy