প্রতীকী ছবি।
শবর শিশুদের জন্য ‘ক্রেশ’ খোলার কথা ভাবছে নবান্ন। প্রশাসন সূত্রের খবর, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শবর শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্পের তালিকায় কিচেন গার্ডেন, ছাগল চাষ এবং মৎস্য চাষের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই পরিকল্পনা বলে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর সূত্রের দাবি।
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের এক কর্তা জানান, অভিভাবকেরা কাজে বেরিয়ে গেলে শবর শিশুদের দেখভালের লোক থাকে না। ‘ক্রেশে’ প্রতিপালনের পাশাপাশি লেখাপ়ড়া শেখানো হবে। আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে শবর জনজাতির তুলনামূলক শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কাজে নিযুক্ত করা হবে।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার শবর রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় বাস। সবচেয়ে বেশি শবর বাস করেন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। সম্প্রতি, ঝাড়গ্রামের পূর্ণপাণী গ্রামে সাত জন শবরের মৃত্যু হয়। তার পরেই রাজ্য নড়ে বসে। সরকারি কর্তারা শবর এবং লোধাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা শুনে প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের এক কর্তা বলেন, শবররা শাল পাতা তোলে, বাঁশ দিয়ে জিনিস তৈরি করে, দড়ির কাজও করে। পতিত জমিতে উদ্যানপালন দফতর থেকে চাষাবাদের পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে হাতের তৈরি জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি করা এবং উৎপাদিত জিনিসের দাম পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সরকারই করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy