সুদিন ফিরছে ধুলিয়ানের। অবশেষে মিটতে চলেছে জলের সঙ্কট। শহরের বাসিন্দারা বিনামূল্যে মাথাপিছু দৈনিক ১০০ লিটার করে জল পাবেন। বাড়িতে জলের সংযোগ মিলবে বিনা পয়সায়।
২০০৮ সালে ২০ কোটি ৬২ লক্ষ টাকার জল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। বিলম্বের কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রকল্পের কাজ আপাতত শেষ হওয়ায় স্বস্তি ধুলিয়ানবাসীর। ঠিক ছিল পুজোর আগেই জল প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। কিন্তু পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করতে গিয়ে গোল বেঁধেছে পাইপ লাইনে। পাইপ লাইনের অনেক জায়গাতেই ‘লিকেজ’ ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন রাজ্যের পুর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরের মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সজল সরকার। আলোচনায় বসেন পুরকর্তাদের সঙ্গে।
সজলবাবু চাইছিলেন, পুজোর আগেই শহরের একাংশে পানীয় জল সরবরাহ হবে। কিন্তু পুরকর্তারা রাজি হননি। দু’সপ্তাহের মধ্যে পাইপের ফাটল মেরামতি করে লক্ষ্মীপুজো বা মহরমের পরেই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন পুরপ্রধান সুবল সাহা। প্রায় ৫০ বছর আগে ধুলিয়ানে এক লক্ষ গ্যালনের একটি জলাধার তৈরি করা হয়। পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে মাত্র ৬টি ওয়ার্ডে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখনও জল সরবরাহের এলাকা বাড়েনি। শহরের সিংহভাগ পরিবারই পানীয় জলের ব্যাপারে নলকূপের উপরে নির্ভর করেন। ধুলিয়ানের মানুষ ভূগর্ভস্থ্য জল পান করেন। বছর পনেরো আগে শহরের বিভিন্ন এলাকার ভূগর্ভের জলে আর্সেনিক ধরা পড়ে। ২০০৮ সালে ‘সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ তৈরির কাজ শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বার বার পুরবোর্ড বদলের ফলে জলপ্রকল্পের কাজ মাঝপথে থমকে যায়। জল সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে গভীর নলকূপ বসিয়ে জল তুলে ২০ লিটারের জারে ভরে ‘মিনারেল ওয়াটার’ বলে তা ঢালাও ভাবে বিক্রি হচ্ছে ধুলিয়ানের বাজারে। ওই সব জল প্রকল্পের সরকারি কোনও ছাড়পত্র নেই। সজলবাবু বলেন, “শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্মশানের কাছে গঙ্গা থেকে জল তুলে পরিশোধন করে তা শহরবাসীকে সরবরাহ করা হবে। শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মানুষই আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পাবেন। প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষের মুখে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy