জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজের ছাত্র রিজুয়ানুর রহম খুনের ঘটনায় আরও দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে জিয়াগঞ্জের বাড়ি থেকে কৃষ্ণা দাস ও পম্পা দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাঁদের লালবাগ আদালতে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম আম্প্রপালি চক্রবর্তীর এজলাসে হাজির করানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী বিপিনবিকাশ ঘোষ জানান, বিচারক ওই দু’জনকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সোমবার রাতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তিলিপাড়ার একটি মেসবাড়িতে হামলা করে স্থানীয় একদল মদ্যপ যুবক। তার প্রতিবাদের জেরে রিজুয়ানুর খুন হয়েছেন বলে দাবি তাঁর সহ-আবাসিকদের। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
ডোমকলের বাসিন্দা রিজুয়ানুরের খুনের পর থেকেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল ডোমকল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। বুধবার সন্ধ্যায় ডোমকলের পথে নেমেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। পড়ুয়া, শিক্ষক, রাজনীতির লোকজন, ব্যবসায়ী থেকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সামিল হয়েছিলেন ওই মিছিলে। তাঁদের দাবি একটাই— ‘রিজের খুনিদের শাস্তি চাই।’ ডোমকলে রিজয়ানুরের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয়ে ওই মিছিল শেষ হয় রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ধৃত দিব্যেন্দু দাস, মহাদেব দাস ও অরূপ দাসকে ওই এলাকায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়। এ দিন জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজে রিজুয়ানুরের স্মরণে শোকসভা হয়। ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কাছে এলাকার মেস মালিক, ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে একটি কর্মশালা করার আবেদন জানানো হয়।
জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন দাস বলেন, ‘‘রিজুয়ানুরের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি সকলকে নিয়ে একটি কর্মশালা করার। প্রশাসনকে জানিয়েছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy