চলছে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ।— নিজস্ব চিত্র
গ্রামের নাম মহ্যমপুর। অথচ গত প্রায় একমাস ধরে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির সৌজন্যে এই গ্রামকে তামাম জেলা চেনে বোমা-গ্রাম হিসেবেই। দুষ্কৃতীদের এই দৌরাত্ম্য রুখতে গ্রামে পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে। অথচ তার মধ্যেও শনিবার বিকেলে ওই গ্রামেরই দু’টো জায়গা থেকে মেলে সাতটি সকেট বোমা। রবিবার দুপুরে বম্ব ডিসপোজাল
স্কোয়াডের কর্মীরা এসে এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে খুন ও বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহ্যমপুর। এ দিন গ্রামে ঘুরে সাতটি পরিত্যক্ত সকেট বোমা উদ্ধার করে বেলডাঙা থানার পুলিশ। মহ্যমপুর বাঁধপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সাতটি বোমা মহ্যমপুর গ্রামের ভাগীরথী নদীর বাঁধ লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিরাট পুলিশ বহিনীর সঙ্গে দমকল বাহিনী ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যেরা এ দিন বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেন।
ওই গ্রামের কয়েকটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া ছিল। গত ২২ জুন তারা এলাকায় ঢুকতে গেলে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৯ সাল থেকে যাঁরা বাইরে ছিলেন তাঁরা এলাকার কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর সাহায্য নিয়ে এলাকার দখল নিতে চেষ্টা করে। বোমাবাজি শুরু করে। তারপর থেকে গ্রামে বোমাবাজি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। আতঙ্কে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ দিকে, গত ২৪ জুলাই মহ্যমপুরে ডহরপাড়ায় খুন হন আসর আলি শেখ। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত ছিলেন। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রামে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে
পুলিশ প্রথমে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের থেকে অনেক তথ্য মেলে বলে পুলিশের দাবি। গ্রামবাসীদের পাল্টা দাবি, তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রান করছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অপরাধীদের খুঁজতে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই করা হচ্ছে। এর বেশি কিছু নয়। গ্রামে তল্লাশি চালিয়েই ওই বোমাগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy