Advertisement
০৮ মে ২০২৪
river dolphin

ন’টি শুশুক শাবকের দেখা, ভিড় পর্যটকদের

সম্প্রতি নদিয়ার কালীগঞ্জের ফুলবাগান চর থেকে পূর্ব বর্ধমান পাটুলি ঘাট এলাকার মধ্যে মোট ন’টি শুশুক শাবক নজরে এসেছে। ওই শুশুক শাবক দেখতে ভিড়ও জমাচ্ছেন অনেকেই।

River Dolphin.

শুশুক। কালীগঞ্জের ফুলবাগানে ভাগীরথীতে। ফাইল চিত্র। 

সন্দীপ পাল
কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ০৬:৪৫
Share: Save:

মাঝেমধ্যেই এলাকায় শুশুক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় বলে অভিযোগ স্থানীয় বন দফতরের আধিকারিকদের। যে কারণে শুশুক বাঁচাতে বর্তমানে নানা ভাবে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। আর এরই মাঝে পশুপ্রেমীদের কাছে সুখবর হয়ে এসে পৌঁছেছে নতুন শুশুকের জন্মের খবর। পাশাপাশি, জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, কালীগঞ্জের ওই এলাকায় চরবালিয়াডাঙা চরকে ওই প্রাণীদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ‘বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের পক্ষ থেকে ‘বায়োডাইভারসিটি জ়োন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি নদিয়ার কালীগঞ্জের ফুলবাগান চর থেকে পূর্ব বর্ধমান পাটুলি ঘাট এলাকার মধ্যে মোট ন’টি শুশুক শাবক নজরে এসেছে। ওই শুশুক শাবক দেখতে ভিড়ও জমাচ্ছেন অনেকেই। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই ওই সব শুশুক শাবকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় গঙ্গায় নৌকায় চেপে অনেক বিদেশি পর্যটকেরাও গাঙ্গেও ডলফিন অর্থাৎ শুশুক দেখতে ভিড় জমান। আগে ভাগীরথীতে প্রায়শই নজরে পড়ত শুশুক। কিন্তু দিন-দিন তাদের সংখ্যা কমছিল। এর মধ্যেই নতুন করে এলাকায় শুশুক শাবকের দেখা মেলার খবরে খুশি অনেকেই।

পশুপ্রেমীদের থেকে জানা গিয়ে, সাধারণত শুশুকদের প্রসবের সময়ে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, নজরে আসা ওই শুশুক সাবকদের বয়স মাসখানেক হবে। নদিয়া-পূর্ব বর্ধমান সীমানা এলাকায় শুশুক শাবক-সহ অন্য প্রাণীদেরও দেখা যায়। গত বছরের এই সময়েও পাঁচটি শুশুক শাবকের জন্ম হয়েছিল। তবে খাবারের সঙ্কট হলে শুশুকেরা ওই এলাকায় থাকবে না, এমনটাই আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, আগামী অগস্ট মাস নাগাদ ওই শুশুকেরা জায়গা পরিবর্তন করবে। তবে শুক্রবার নদিয়া-কালিকাপুর লাগোয়া বর্ধমানে এক প্রাপ্তবয়স্ক শুশুকের মৃত্যুর পরে নতুন করে তাদের সংরক্ষণ করা নিয়ে চিন্তা দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালে নয়টি, ২০২২ সালে তিনটি ও চলতি বছরে শুরুতেই একটি শুশুকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কালীগঞ্জের নয়াচরের বাসিন্দা গণেশ চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে শুশুক বাঁচানোর কাজ করে আসছেন।

তাঁর কথায়, ‘‘আগের তুলনায় শুশুকের সংখ্যা কমে গিয়েছে। এর জন্য দায়ী আমরাই— নদীর দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা। শুশুক সাবক দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। তবে খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, বছরকয়েকের মধ্যে শুশুকের জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার বেশি।’’ যদিও এই বিষয়ে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার ডিএফও প্রদীপ বাউরি বলেন, ‘‘সেনসাস না করে এই বিষয়ে বলা খুবই মুশকিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

river dolphin Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE