Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
Adhir Ranjan Chowdhury

অধীর আছেন অধীরেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা

রাজনৈতিক তৎপরতার সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, বহরমপুর শহরে বেশ কিছু দিন ধরে চলা পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে তাঁর আন্দোলন।

অধীর চৌধুরী।

অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ১০:০৮
Share: Save:

লোকসভা ভোটে পরাজিত হওয়ার পরেও আগের মতোই বহরমপুরে তাঁর উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সবাপতি অধীর চৌধুরী। যে ভাবে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করতেন, দলকে আন্দোলনের নির্দেশ দিতেন, একই ধারা বজায় রেখেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। নানা রকম জল্পনা শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে সে সব প্রকাশিত হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বহরমপুর। তবে তিনি এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রয়েছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক ভাবে প্রাসঙ্গিক থাকতেই নানা ধরনের আন্দোলন করে চলেছেন।

সেই রাজনৈতিক তৎপরতার সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, বহরমপুর শহরে বেশ কিছু দিন ধরে চলা পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে তাঁর আন্দোলন। অধীর এই বিষয়ে জেলাশাসককে যেমন চিঠি দিয়েছেন, তেমনই তাঁরই নির্দেশে শহর কংগ্রেস নেতৃত্ব বহরমপুর শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। তাঁর হয়ে ‘নির্বাচনী কাজকর্ম করায়’ ১৪ জন পুরসভার কর্মীর বেতন স্থগিত করে দিয়েছেন বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ তুলে অধীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সেই সব কর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।

তবে বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘ভোটে হেরে গিয়েও অধীর চৌধুরী বহরমপুরবাসীর কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছেন। তাই তিনি নিজেকে ‘বহরমপুরের মসিহা’ প্রমাণ করতে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ভাগীরথীর জল ঘোলা থাকায় ও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। সে কথা আমরা পুরসভা থেকে প্রচারও করেছি। সেটা নিয়েও তিনি রাজনীতি করছেন। পুরসভার ৫৩ জন কর্মীর পারফরম্যান্স খারাপ। সে জন্য তাঁদের বেতন স্থগিত করে শো-কজ় করা হচ্ছে। সেখানেও তিনি রাজনীতি করতে ১৪ জন কর্মী তাঁর হয়ে খেটেছেন বলে চিঠি দিয়েছেন। যে ৫৩ জনের বেতন স্থগিত করা হয়েছে তাঁদের অধিকাংশ তৃণমূলের সংগঠন করেন।’’

প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা ইন্দিরা গান্ধীকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারতে দেখেছি। সেখানে অধীর চৌধুরীও হেরেছেন। তা আমরা মেনেও নিয়েছি। হার জিত রাজনীতির অঙ্গ। শাসক দলের এই হার নিয়ে এত মাথা খারাপ হল কেন বুঝতে পারছি না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অধীর বরাবরই মানুষের কথা বলে এসেছেন। যখন সাংসদ ছিলেন তখনও তিনি মানুষের কথা বলেছেন, মানুষের কাজ করেছেন। এখন প্রাক্তন সাংসদ, এখনও মানুষের কথা বলছেন। রাজনীতির মানুষের এটাই তো কাজ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE