Advertisement
০৪ মে ২০২৪

বন্‌ধে কার্যালয় খুলে চাঙ্গা সিপিএম

চার মাস পরে খুলল দলীয় কার্যালয় এবং তা দলের ডাক দেওয়া বন্‌ধের সকালে।

ভিড় সিপিএম কার্যালয়ের সামনে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

ভিড় সিপিএম কার্যালয়ের সামনে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২২
Share: Save:

চার মাস পরে খুলল দলীয় কার্যালয় এবং তা দলের ডাক দেওয়া বন্‌ধের সকালে।

রঘুনাথগঞ্জ বন্‌ধ সফল না ব্যর্থ তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না কেউই। বরং বন্‌ধের সমর্থনে মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে জঙ্গিপুরে পথে নামাতে পেরেই খুশি স্থানীয় সিপিএম নেতারা। তার চেয়েও বেশি খুশি প্রায় চার মাস পর বন্‌ধের দিনে জঙ্গিপুরে নিজেদের দলীয় অফিস খুলতে পারায়। দীর্ঘ দিন পরে এ ভাবে অফিস খুলতে পেরে খুশি সিপিএমের কর্মীরাও। প্রাক্তন কাউন্সিলার কাশীনাথ মণ্ডল বলছেন, “বহু দিন পর দলের অফিসে এসে বসতে পারলাম, খুবই খুশি।

আর সেই বন্ধ কার্যালয় খোলার সূত্রে দলীয় কর্মীরা কিঞ্চিৎ ‘চাঙ্গা’ বোধ করে পথ অবরোধ করে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে।

এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বলছেন, “গায়ের জোরে এই অফিস দখলের বহু চেষ্টা হয়েছে। বোমা পড়েছে। তাই বন্ধ রাখতে হত অফিসকে। আজ ধুলো ঝেড়ে অফিসে ঢুকেছি। আড্ডা দিয়েছি আগের মতো।”

জঙ্গিপুরে গত কয়েক বছরে বনধের মত কোনও দলীয় কর্মসূচিতে কর্মীদের সে ভাবে রাস্তায় নামাতে পারেনি সিপিএম। কিন্তু এ দিন তা পেরেছেন। দলীয় কর্মীরা এলাকায় বনধ সে ভাবে সফল করতে না পারলেও কিছু কর্মীর গা-ঝাড়া ভাব কাটাতে পেরেই আপাতত খুশি। দলের কর্মীদের চাঙ্গা করাই এখন একমাত্র লক্ষ সিপিএমের কাছে বলছেন নেতারা।

দলের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, “এই অফিসে আসা যাওয়ার পথে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছি। বোমা পড়েছে। অফিস দখল করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে। কোনও নিরাপত্তা ছিল না কর্মীদের। স্বভাবতই অফিস বন্ধ রাখতে হয়েছিল মাঝে মধ্যেই। এ দিন বন্‌ধের সমর্থনে কর্মীরা সংখ্যায় ছিল বেশি। তাই প্রায় চার মাস পর অফিস খুলে বসতে পেরেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Politics Bandh Bharat Bandh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE