আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম নফরচন্দ্রপুর। প্রায় দেড় হাজার মানুষের বাস। তেহট্ট ১ ব্লকের বেতাই- এর কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষা এই গ্রাম আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া। প্রশাসনিক যাবতীয় নথিপত্রের তথ্যে তার উল্লেখও রয়েছে। তবে তা নিয়ে এত দিন বিশেষ কারও হেলদোল ছিল না বলে অভিযোগ। গ্রামের হাল দেখতে প্রশাসনিক কর্তা বা রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি তেমন ভাবে কোনও দিনই চোখে পড়েনি স্থানীয় মানুষের। সেটাও গা সওয়া হয়েগিয়েছিল।
আচমকা ধারা পাল্টে গত শুক্রবার ওই গ্রামেই ‘আম-দরবার’ বসালেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। সশরীরে হাজির থেকে সভায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষকে ডেকে তাঁদের সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা শোনা হল, নথিভুক্তও করা হল। আশ্বাস মিলল তার দ্রুত সমাধানের। যা দেখেশুনে গ্রামের এক প্রবীণ হেসে বললেন, ‘‘হল কী বাবুদের! আমাদের দুঃখের কথা শোনার কথা তো এত দিন মনে হয়নি।’’
সত্যি কী এমন হল যাতে প্রশাসনিক কর্তাদের গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হচ্ছে? তা হলে কি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্রে মারাত্মক রকম নীচে নেমে গিয়েছে নফরচন্দ্রপুর? নাকি রাজনৈতিক কোনও কারণে হঠাৎ গ্রামের গুরুত্ব বেড়েছে, নাকি কোথাও কোনও অভিযোগ হয়েছে গ্রামের অনুন্নয়ন নিয়ে?