Advertisement
E-Paper

সস্তায় আনাজ নিয়ে রাস্তায় ডিওয়াইএফ

সংগঠন সূত্রের দাবি, চাষিদের থেকে সরাসরি কিনে এনে কোনও লাভ না রেখে বিক্রি করাতেই কম দামে আনাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৬
রানাঘাটের রাস্তায় আনাজ বিক্রি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

রানাঘাটের রাস্তায় আনাজ বিক্রি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

লকডাউনের সময় থেকেই একের পর এক ইস্যু আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিপিএম এবং সেটির ছাত্র ও যুব সংগঠন। কমিউনিটি কিচেন খোলা থেকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসক-অক্সিজেন জুগিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা, সেফ হোম খোলার ঘোষণা— একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে হারানো জনভিত্তি ফিরে পাওয়াকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তালিকায় নতুন সংযোজন ‘ন্যায্য মূল্যের’ ভ্রাম্যমাণ আনাজ বাজার। সৌজন্যে ডিওয়াইএফের রানাঘাট লোকাল কমিটি।

বুধবার বিকালে রানাঘাট শহরের মিশন রোডে রাস্তার ধারে প্লাস্টিকের টেবিল বিছিয়ে তার উপরে আনাজ রেখে বিক্রি করা শুরু হয়। জেলার এক মাত্র বাম বিধায়ক, রানাঘাট দক্ষিণের রমা বিশ্বাস ছাড়াও সিপিএমের রানাঘাট এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী সেখান হাজির ছিলেন। বিক্রিবাটার শেষে পাশেই একটি পথসভা করে আনাজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হয়। এই সস্তার আনাজ বিক্রি আপাতত চলবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। প্রথম দিনে কিন্তু ভালই সাড়া পড়েছে সিপিএমের যুব সংগঠনের এই উদ্যোগে। আশপাশের এলাকার লোকজন থলি হাতে এসেছেন, পছন্দের আনাজ কিনে নিয়ে গিয়েছেন। রাস্তার ধারে থলি হাতে দাঁড়িয়ে এঁদেরই এক জন প্রেমাংশু দত্ত বলেন, “আমি এই রাস্তা দিয়ে যাছিলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি কী হচ্ছে। পরে দেখি, আনাজ বিক্রি হছে। তালিকায় দেখলাম, কয়েকটি আনাজের দাম কম। তাই কিনে নিলাম।” অআর এখ ক্রেতা সবিতা বিশ্বাস বলেন, “পাঁচটা জিনিসে দু’টাকা করে কম লাগলেও দশ টাকা বাঁচে। সেই টাকাটাই বা কে দেয়!”

কী করে খোলা বাজারের চেয়ে সস্তায় দিচ্ছে ডিওয়াইএফ?

সংগঠন সূত্রের দাবি, চাষিদের থেকে সরাসরি কিনে এনে কোনও লাভ না রেখে বিক্রি করাতেই কম দামে আনাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “গরিব মানুষের কথা ভেবে এই বাজার বসানো হয়েছে। সরাসরি আনাজের হাটে চাষিদের থেকে আনাজ কেনা হচ্ছে।” হাটে আসা আনাজ চাষি অসিত হালদার বলেন, “সরাসরি কিনলে তো কিছুটা কম দামে বিক্রি করাই যায়। কারণ এখানে তো মাঝে পাইকার বা তৃতীয় কেউ থাকছে না।”

রাজনৈতিক বিরোধীরা অবশ্য এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। রানাঘাট শহর তৃণমূলের নেতা পিন্টু সরকারের মতে, “প্রচারে আসার জন্য এটা একটা চমক ছাড়া কিছু নয়। এতে মানুষের কিছু উপকার হবে না। বাজারে প্রায় এই দামেই আনাজ পাওয়া যায়।” রানাঘাট শহর বিজেপি সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক বলেন, “প্রকৃত গরিব মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা হলে ভাল হত। প্রতীকি কর্মসূচি করে কোনও লাভ হবে না।” দেবাশিস বলেন, “আপাতত এখানে চার দিন এই বাজার বসবে। পরে শহরের অন্যত্র চলে যাবে।”

Community Market DYFI Ranaghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy