Advertisement
E-Paper

কাজে ঢিলেমি, ক্ষুব্ধ সাংসদ

বুধবার পূর্ত দফতরের সিভিল শাখার সহকারী বাস্তুকার সঞ্জয়  পাইনকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণে কাজ পরিদর্শনে আসেন অভিজিৎ। ঘুরে দেখেন কাজের অগ্রগতি। তারপরেই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৬
 রবীন্দ্রভবন পরিদর্শন করে বেরোচ্ছেন সাংসদ। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্রভবন পরিদর্শন করে বেরোচ্ছেন সাংসদ। নিজস্ব চিত্র

তাঁর সংসদ তহবিলের বরাদ্দ কাজ করতে অযথা ঢিলেমি করছে জেলা পূর্ত দফতর বলে অভিযোগ তুললেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, রঘুনাথগঞ্জ রবীন্দ্রভবনকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করতে ৫৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল জেলার পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ শাখাকে। ৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল জঙ্গিপুরের পূর্ত দফতরকে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু পূর্ত দফতরের সিভিল শাখা দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করে দিলেও মার্চ পর্যন্ত পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ শাখা কাজ শেষ করেনি। কাজ না হওয়ায় ইউটিলাইজেসন সার্টিফিকেট দিতে না পারলে সাংসদ তহবিলের পরবর্তী দফার টাকা আসবে না। সেই বরাদ্দ টাকা আটকে দেওয়ার উদ্দেশ্য গাফিলতির পিছনে বলে অভিযোগ।

বুধবার পূর্ত দফতরের সিভিল শাখার সহকারী বাস্তুকার সঞ্জয় পাইনকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণে কাজ পরিদর্শনে আসেন অভিজিৎ। ঘুরে দেখেন কাজের অগ্রগতি। তারপরেই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, “বুধবার পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ শাখার বাস্তুকারদের সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জ রবীন্দ্র ভবনে আসার কথা ছিল। কিন্তু কেউ আসেননি। তাঁদের গাফিলতির জন্যই কাজ আটকে রয়েছে। বাংলায় একটা কালচার তৈরি হয়েছে পরে উন্নয়ন, আগে রাজনীতি। আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে।”

কাজে গাফিলতির কথা মানছেন জঙ্গিপুর পুরসভার প্রধান তৃণমূলের মোজাহারুল ইসলামও। তার কথা, “তিন মাস আগে কাজ শেষ করে রবীন্দ্রভবন পুরসভাকে হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু এখনও বহু কাজ বাকি।” সঞ্জয়বাবুও বলছেন, “পরিদর্শনে এসে দেখাই যাচ্ছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের অনেক কাজই এখনও বাকি।”

সব শুনে পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী বাস্তুকার নন্দন মালি পাল্টা দাবি করছেন, “আমাদের তো কোনও কাজ বাকি নেই। এখন বিদ্যুৎ সংযোগটা দিলেই হয়। সেটা বিদ্যুৎ দফতর দেবে।” রঘুনাথগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের সহকারী বাস্তুকার সুপ্রিয় মাহাতো বলছেন, “আমাদের কাছে পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ শাখা বিদ্যুৎ সংযোগ চাইলে তো দেব, সে রকম আবেদনই আসেনি।”

PWD Congress Jangipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy