করোনা ছাপিয়ে এখন সংবাদ শিরোনামে ঘূর্ণিঝড় আমপানের কথা। তার গতিপথে নদিয়া সরাসরি না পড়লেও মঙ্গলবার দুপুরের সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, তার প্রভাবে নদিয়ার সর্বত্র বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ – ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবারও নদিয়ার প্রায় সর্বত্র বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়ার গতি পৌঁছতে পারে ৭০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
এটা ঠিক যে, উপকূলের কাছাকাছি থাকা এলাকা, এমনকি কলকাতায় ঝড়ের যে তীব্র গতি থাকার কথা বলা হয়েছে সেই তুলনায় নদিয়ার অবস্থা ভাল। কিন্তু বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলের মতো এই জেলাতেও গ্রাম এবং শহরেও একটু ঝড় হলে বিদ্যুৎ কয়েক দিনের জন্য চলে যাওয়াটা প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেখানে আমপানের মতো ঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে ভয়ের জায়গা হয়ে থাকছে বিদ্যুৎ। ঝড় চলাকালীন এবং তার পরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখাটাই এখন প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের কাছে চ্যালেঞ্জ।
এমনিতেই এখন তীব্র গরম। সেই সঙ্গে রমজানও চলছে, এবং চলছে করোনার দাপট। বিভিন্ন জায়গায় অনেক অসুস্থ মানুষ রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখাটা খুবই প্রয়োজন। তাই বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর বিশেষ টিম তৈরি করেছে। তারা ২৪ ঘণ্টা কাজে থাকবে। রমজান মাসের পাশাপাশি পর-পর কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য আগে থেকেই কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে ওই দফতর। লাইনের ঝুলে পড়া তার টান করা হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় তারের উপরে ঝুলে পড়া গাছের ডাল।