ঐতিহাসিক পলাশি মনুমেন্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই তেজনগর শ্মশান। শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। অপর প্রান্তে, মুর্শিদাবাদের রামনগর ঘাট। ওই তেজনগর শ্মশানঘাটের উপরে কালীগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তো বটেই, পড়শি ব্লক, পলাশিপাড়া, তেহট্টের মানুষও ভরসা করেন।
বর্তমানে শ্মশানঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজ চলছে। দাহ করার জন্য যে চুল্লি রয়েছে তা ভাগীরথী থেকে কিছুটা দূরে হওয়ার কারণে ভাগীরথীর ধারেই বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ঝিল তৈরি করে দেহ সৎকারের কাজ চালানো হচ্ছে। ওই শ্মশান ঘাটে কে, কখন, কার শব দাহ করতে আসছেন, তা দেখার কেউ নেই। চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যু শংসাপত্র খতিয়ে দেখার তো প্রশ্নই নেই! তবে দাহ কাজ শেষে তেজনগর শ্মশান উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে একটি রসিদ দেওয়া হয়। ওই রসিদ দেখিয়ে সপ্তাহখানেক পর ডোমের টিপ ছাপ দেওয়া একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। ওই শংসাপত্র দেখিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হয় সরকারি নথিভুক্ত মৃত্যু শংসাপত্র।
প্রশ্ন উঠেছে, ব্লকের পরিচিত ব্যস্ততম শ্মশানে কাগজপত্র দেখভাল করার কেউ নেই কেন?