ভবন তৈরি হয়ে গিয়েছে আগেই। কিন্তু দুই দফতরের টানাপোড়েনে এখনও পর্যন্ত তার হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত পুরনো বাড়িতেই অপরিসর জায়গায় রয়ে গিয়েছে জেলার খাদ্য দফতরের কার্যালয়।
এর আগেও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে পূর্ত দফতর ও খাদ্য দফতরের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। মঙ্গলবারও এই বিষয়ে বৈঠক হয় জেলা প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে সিন্ধান্ত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ভবনটি পূর্ত দফতর খাদ্য দফতরকে হস্তান্তর করবে। তবে সেটা কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না দুই দফতরের কর্তারা।
জেলা প্রশসনিক ভবন চত্বরে একটি ভবনের দোতলায় খাদ্য দফতরের কার্যালয়। অপরিসর জায়গায় জেলা ও মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের দফতর। কর্মীদের বসা বা টেবিল চেয়ার রখার জায়গা পর্যাপ্ত নয়। তার উপরে আছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ভিড়। এই পরিস্থিতে থেকে মুক্তি পাওয়ায় জন্য কৃষ্ণনগর শহরের পাত্রবাজার এলাকায় একটি নতুন ‘খাদ্য ভবন’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মত গত বছর ১৮ জুন দোতলা ভবন তৈরির কাজ শুরু করে পূর্ত দফতরের নদিয়া ডিভিশন। খরচ ধরা হয় ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। দু’টি তলায় মোট ২৬টি ঘর আছে। চলতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কাজ শেষ হয়ে যায় বলে পূর্ত দফতরের নদিয়া ডিভিশনের দাবি। তার পর থেকে শুরু হয়েছে ভবন হস্তান্তর নিয়ে টানাপড়েন।