Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Arrest

আঁস্তাকুড় থেকে উদ্ধার ন’কোটি টাকার সোনা, নদিয়ায় গ্রেফতার দু’জন

ডিআরআই সূত্রেও খবর, গোয়েন্দা মারফত রাজস্ব দফতর খবর পায়, বিজয়পুর গ্রামে কোনও একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সোনা লুকোনো আছে। খবর পৌঁছয় বিএসএফ কর্তাদের কাছে।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৪
Share: Save:

চারদিকে ডাঁই করা ময়লা-আবর্জনা, ঘরের পিছনে অন্ধকার বাঁশবাগানের আঁস্তাকুড়ে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার প্রায় ১৪ কেজিরও বেশি ওজনের ১০৬টি সোনার বিস্কুট। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিজয়পুর গ্রামের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনা। অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে আনা সোনা লুকিয়ে রাখার অভিযোগে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতর (ডিআরআই)। ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক এক দিনের ডিআরআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার সীমান্ত লগোয়া একটি বাড়িতে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিজয়পুর সীমা চৌকির জওয়ান ও কলকাতার ডিআরআই আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের আগেই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

ডিআরআই সূত্রেও খবর, গোয়েন্দা মারফত রাজস্ব দফতর খবর পায়, বিজয়পুর গ্রামে কোনও একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সোনা লুকোনো আছে। খবর পৌঁছয় বিএসএফ কর্তাদের কাছে। বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি দল বিজয়পুরের সন্দেহভাজন দু’টি বাড়িকে ঘিরে ফেলে। রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় দু’টি দলের যৌথ তল্লাশি। তল্লাশি চালিয়ে ঘরের মধ্যে কিছুই মেলেনি। শুরু হয় বাড়ির আশপাশ খোঁজাখুজি। ঘণ্টাখানেকের তল্লাশি শেষে সেই সময় বাড়ির পিছনের একটি আঁস্তাকুড় থেকে উদ্ধার হয় দু’টি কাপড়ের ব্যাগ। ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন আকারের মোট ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ১৪ কেজি ২৯৬ গ্রাম। ভারতীয় বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৮.৫০ কোটি টাকা। অবৈধ ভাবে সোনা মজুত ও পাচারের অভিযোগে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানান, বাংলাদেশের নাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ ও নাসুফ নামের দুই চোরাকারবারি তাদের এই সোনা বিজয়পুর গ্রামের পাশে গেদের সন্তোষ হালদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিয়েছিলেন। সীমান্তের কড়াকড়ি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ওই সোনা লুকিয়ে রাখেন। বাজেয়াপ্ত সোনা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘বিএসএফ দলের এই সাফল্য উদ্‌যাপন করার মতো। স্থানীয় বাসিন্দারা চোরাপাচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করলে ১০০ শতাংশ অবৈধ কাজ সীমান্ত এলাকায় বন্ধ করা সম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gold Recovered Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE