লণ্ডভণ্ড: রবিবারের ঝড়ে পড়ল গাছ। নিজস্ব চিত্র
ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানে। সোমবার বিকেলে রানাঘাট ১ ব্লক, হাঁসখালি, শান্তিপুর, হরিণঘাটা, নাকাশিপাড়া মিলিয়ে প্রায় ৫০০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হল। নদিয়ার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বুদ্ধদেব ধর বলছেন, “ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
মুর্শিদাবাদের আবার ঘণ্টাখানেকের ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল ফরাক্কার ৪০টিরও বেশি গ্রাম। তিলডাঙা ও লাগোয়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত দেড় হাজার বাড়ি। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও বহু গাছ। উড়ে গিয়েছে নিউ ফরাক্কা রেলস্টেশনের টিনের ছাউনি। সব্জি ও ধান নষ্ট হয়েছে ব্যাপক ভাবে। ওই এলাকার গাছগুলিতে লিচু আর আম প্রায় নেই বললেই চলে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদিঘির একাধিক গ্রামও।
জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক টি বালসুব্রহ্মনিয়ন জানান, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ফরাক্কা কার্যত বিপর্যস্ত। নিশিন্দ্রা গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন উত্তরা মণ্ডল নামে এক মহিলা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন সাগরদিঘির হাজিপুরে আব্দুর রহমান (২১) নামে এক পড়ুয়ার।
উদ্যান পালন দফতরের উপ অধিকর্তা গৌতম রায় বলেন, “ফরাক্কায় একটি দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ফিরলে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। ফরাক্কায় আম ও লিচুর বিপুল ক্ষতি হয়েছে।”
মঙ্গলবার ফরাক্কার বাজারে ঝড়ে পড়া আম এক টাকা কেজি দরেও কিনতে চাননি অনেকেই। পলাশির দীপেন হালদার বলেন, “আকাশে মেঘ দেখে ঘরেই ছিলাম। তুমুল ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গর্জন। আচমকা একটা শব্দ হয়। উপরে তাকিয়ে দেখি টিনের ছাদ হাওয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy