সন্ধ্যাবেলায় বিয়ে। সব আয়োজন সারা। আচমকা বিয়ে শুরুর কিছু ক্ষণ আগেই হাজির প্রশাসনের লোকজন, সঙ্গে নাজিরপুর সারদা বালিকা বিদ্যালয়ের স্বয়ংসিদ্ধা কমিটির সদস্যরা। পাত্রী নাবালিকা। অতএব বিয়ে বন্ধ।
গত রবিবার করিমপুরে আইন ভেঙে নাবালিকার বিয়ের আয়োজনের খবর প্রশাসনকে দিয়েছিল স্বয়ংসিদ্ধা কমিটির ছাত্রীরাই। গত ২৫ মার্চ ২০১৭ স্কুলে ওই কমিটি তৈরি হয়। তার পর থেকে গত দেড় বছরে স্কুলের১৩টি নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে তারা আটকে গিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে নাবালিকা নিজেই বিয়েতে আগ্রহী ছিল, আবার কোনও ক্ষেত্রে তার অমত সত্ত্বেও বাড়ির লোক জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাবালিকার বিয়ের কুফল ও ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা বুঝিয়ে বলে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি প্রদীপ্ত দাস জানান, নিয়ম না-মেনে নাবালিকার বিয়ে দিলে শুধু নাবালিকার ক্ষতি হয় তা-ই নয়, বিয়ের কথা জানতে পেরে প্রশাসন যখন তা আটকে দেয় তখন অভিভাবকদেরও আর্থিক ভাবে প্রভূত ক্ষতি হয়। কারণ, তত ক্ষণে বিয়ের যাবতীয় খরচ তাঁরা করে ফেলেন। রতনপুরের বাসিন্দা ও নাজিরপুর সারদা বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর ক্ষেত্রেও অভিভাবকেরা প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এর অনেকটাই ধারদেনা করা। এইরকম দিশেহারা অবস্থায় পড়ার থেকে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকাই উচিত বলে প্রদীপ্ত দাসেদের পরামর্শ।