সরকারি আবাসনে তালা মেরে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল। ফাঁকা আবাসনের দরজা ভেঙে চুরি যায় নগদ ১৫ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার গয়না। ওই দিনই পুলিশ আবাসনে আরও দুটি চুরির ঘটনা ঘটে। অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে বহরমপুর স্টেশন লাগোয়া পুলিশের ‘পদ্মা হাউজিং আবাসনে’ ওই তিনটে চুরির ঘটনা ঘটনায় শহর জুড়ে হইচই শুরু হয়। পুলিশের ঘরে চুরি নিয়ে টিপ্পনি কাটতেও কসুর করেনি বহরমপুরের মানুষ। তবে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এরকম ফাঁকা বাড়িতে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাতে বাদ যায়নি পুলিশের বাড়িও।
গত ৬ মাসে বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় অন্তত ৩০ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুজোর সময় অনেকে লম্বা ছুটিতে ঘুরতে যান। আবার বাড়ির সকলে সন্ধ্যার পরে মণ্ডপে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ওই সময় বাড়ি ফাঁকা থেকে যায়। ফলে ওই সময় চুরির আশঙ্কা থেকেই যায়। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। ফলে আগের থেকে চুরির সংখ্যা কমেছে। এছাড়াও পুজোর সময় পুলিশ বাড়তি নজরজারি চালাবে প্রতি পাড়ায়।’’
পুজোর সময় চুরি আটকাতে কি পুলিশের বিশেষ কোনও নির্দেশ রয়েছে? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, পুজোর সময় বলে আলাদা কোনও নির্দেশ নেই। তবে চুরি আটকাতে জেলা পুলিশের অ্যাপস ‘আলোর পথে’-তে বিভিন্ন পরামর্শ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। কি সেই পরামর্শ? বাড়ি খোলা রেখে বাইরে বেরোবেন না। বাড়ির কাজের লোকের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে কাজে লাগাবেন। বাড়ির কাজের লোকের তথ্য স্থানীয় থানায় জানাবেন। যে কেউ জাকলেই দরজা খুলবেন না। সম্ভব হলে বাড়ির গোপন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন। কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন, কখন কোথায় যাচ্ছেন তা ফেসবুক, টু্ইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখবেন না। সব সময় স্থানীয় থানা ও জেলা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের নম্বর নিজের মোবাইলে রাখবেন।