E-Paper

পুরাতত্ত্ববিদ রাখালদাসের জন্মদিবস উদ্‌যাপিত

১৮৮৫ সালের ১২ এপ্রিল এই বিশ্ববরেণ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ তথা হরপ্পা-মহেঞ্জদাড়োর আবিষ্কর্তার জন্ম হয়েছিল বহরমপুর শহরেই।

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৬
রাখালদাসের আবক্ষ মূর্তি।

রাখালদাসের আবক্ষ মূর্তি।

মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১২ এপ্রিল বুধবার রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উদ্‌যাপিত হল বহরমপুরের রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় মিউজিয়াম চত্বরে। এদিন তাঁর জন্মভূমি মুর্শিদাবাদে এই অনুষ্ঠান অন্য মাত্রা পায়। অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে এসে উপস্থিত ছিলেন রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজ পৌত্র পঁচাত্তর বছর বয়সের দেবাশিস বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর পুত্র দেবাঙ্কন বন্দোপাধ্যায়।

১৮৮৫ সালের ১২ এপ্রিল এই বিশ্ববরেণ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ তথা হরপ্পা-মহেঞ্জদাড়োর আবিষ্কর্তার জন্ম হয়েছিল বহরমপুর শহরেই। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে দেবাশিসবাবু রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত রাজ্যের একমাত্র এই মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি দেবাশিসবাবুর পুত্র কলকাতা থেকে এসে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাপ্ত দুটি উপহার মিউজিয়ামে সংরক্ষণের জন্য তুলে দেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে। জন্মদিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ও সব কিছু দেখে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অবহেলিত বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি। বাংলা তথা দেশ তাঁর অবদান অনেকটা ভূলে গেলেও মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সাধ্যমত তাঁর স্মৃতিকে সযত্নে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। তাঁর স্মরণে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা ও ধারাবাহিক ভাবে এই বিপুল উদ্যোগ অনুষ্ঠান আজ আমাদের সকলের কাছে দৃষ্টান্ত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও জন্মভূমিতে এত সম্মানের সঙ্গে তাঁর ঠাঁই হয়েছে দেখে ভাল লাগছে।’’

এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক ও এই মিউজিয়ামের কিউরেটর অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিয়ামে জন্মদিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রথম বারের জন্য স্বয়ং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বর্ষীয়ান নাতির আগমন এক বড় প্রাপ্তি।’’ অরিন্দমবাবু এও বলেন যে, ‘‘গত ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর অতিমারির সময়ে সরাসরি কলকাতায় দেবাশিস বাবুদের বাড়ি খুঁজে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ওই সময় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত চায়ের কাপ প্লেট ও তাঁর লেখা এবং তাঁর সম্পর্কে লেখা বেশ কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ মিউজিয়ামের সংরক্ষণের জন্য আমার হাতে তুলে দেন। এ দিনের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পপ্রদান করা হয়। আলোচনা হয় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্ম নিয়ে। এদিনের অনুষ্ঠানে দেবাশিসবাবুর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অপ্রতীম ঘোষ ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Berhampore Rakhaldas Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy