Advertisement
০৮ মে ২০২৪

ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র কল্যাণীতেও

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আবাস-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র বসাল ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সাতটি ন্যাপকিন ডিজপোজাল যন্ত্রও।

সুপ্রকাশ মণ্ডল
কল্যাণী  শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৫
Share: Save:

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আবাস-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র বসাল ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সাতটি ন্যাপকিন ডিজপোজাল যন্ত্রও।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ওই ভেন্ডিং মেশিন বসানোর রীতি নতুন নয়। রাজ্যে সে ব্যাপারে পথ দেখিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কথা ছিল এর পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসানো হবে ওই যন্ত্র। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে সে ব্যাপারে তাদের টেক্কা দিল কল্যাণী।

বছর খানেক আগেই মহিলা কমিশন বিভিন্ন সরকারি অফিস কাছারি থেকে স্কুল-কলেজে ওই যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। সে প্রস্তাবই একে একে কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে ইতিমধ্যেই ওই ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে সে যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে সম্প্রতি বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও সাড়া মিলেছে ভালই।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের তিনটি আবাসনেই ওই মেশিন বসানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেগুলি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনিক ভবনেও বসেছে ভেন্ডিং মেশিন। বাইরে থেকে আসা ছাত্রী বা মহিলা কর্মীরাও যাতে তার সুযোগ নিতে পারেন। সে জন্যই ছাত্রীবাস ছাড়াও প্রশাসনিক ভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা হয়েছে।

ব্যবহারের পরে যত্রতত্র যাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ফেলে দেওয়া না হয়, সে জন্যই ডিজপোজাল যন্ত্র। অনেক ছাত্রীও জানিয়েছেন, ব্যবহৃত ন্যাপকিন নিয়ে তাঁদের প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হত। তাই ভেন্ডিং মেশিনের পাশেই ঠাঁই হয়েছে সেগুলির।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুভাষ সরকার জানান, বেশ কয়েকমাস আগেই তাঁরা এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কার্যকর করতে কিছুটা সময় লাগল। আরও কিছু জিসপোজাল যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সুভাষবাবু বলেন, ‘‘ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে, যেমন আবেদন এসেছিল, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এটা নিয়ে ভেবেছিল। বলতে পারেন, এটা দু’পক্ষের প্রচেষ্টার ফল। এটা করতে পেরে আমাদেরও ভাল লেগেছে।’’

তিনি জানান, ভেন্ডিং এবং ডিজপোজাল মিলিয়ে মোট ১২ যন্ত্র কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ পড়েছে তিন লক্ষ টাকা।

রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় মাস কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, পথেঘাটে মেয়েদের যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে হয় স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে। সে জন্য যে সব অফিসে মহিলা কর্মীর সংখ্যা বেশি, সেই সব অফিসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র বসানো হোক। বসানো হোক ডিসপোজাল যন্ত্রও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Napkin vending Machine Kalyani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE