এই ভবন গড়তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।— নিজস্ব চিত্র
খেলার মাঠের জন্য জমি ছেড়ে ভবন তৈরি করতে হবে এই দাবি তুলে নতুন স্কুল ভবন তৈরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। ঘটনা এতো দূর গড়িয়েছে যে, সমস্যার সমাধান চেয়ে মঙ্গলবার স্কুলের প্রধানশিক্ষক জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে আট জন স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। শান্তিপুর থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, দু’দফায় অভিযুক্তেরা স্কুলভবন তৈরিতে বাধা দেন। এপ্রিল মাসেও একই ভাবে বাধা আসে। গত শনিবার স্কুলের ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। সোমবার ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানশিক্ষক নীলাভ প্রামাণিক বলেন,“এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে বাধা এসেছিল। ফের গত সোমবার ফের বাধা দেওয়া হয়। তাই স্কুলের পক্ষ থেকে জেলাশাসককে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানাই।’’
শান্তিপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রাগড়ে মালঞ্চা হাইস্কুলের গা ঘেঁসে খেলার মাঠ। মাঠের পাশেই সূত্রাগড় স্মৃতি ক্লাব। মাঠে ক্লাবের সদস্যেরা খেলাধুলো করে। ক্লাবের দাবি, ওই মাঠ তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা তথা সুত্রাগড় স্মৃতি ক্লাবের সম্পাদক আলাউদ্দিন শেখ জানান, তিনি নিজেই স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য। তিনি খেলার মাঠ এবং স্কুল বিল্ডিং দুটোই চান। কিন্তু বর্তমানে ভবনটি খেলার মাঠের ক্ষতি করে গড়া হচ্ছে। মাত্র পাঁচ ফুট সরিয়ে ক্লাস ঘর তৈরি হলে খেলার মাঠের কোনও সমস্যা হবে না।
এ দিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের বর্তমান ছাত্রছাত্রী ১৩৫৮ জন। অথচ ক্লাসঘর রয়েছে মোটে ১০টি। ফলে ক্লাসে গাদাগাদি ছাত্রছাত্রীদের বসতে হয়। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে ৬টি ঘর তৈরির জন্য ৩৯ লক্ষ টাকার অনুমোদন মেলে। প্রথম দফায় ওই প্রকল্পে স্কুল ২০ লক্ষ টাকা পায়। সেই টাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুলের ক্লাস তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু নতুন ভবন গড়া হলে স্কুল লাগোয়া খেলার মাঠের ক্ষতি হবে এই দাবি তুলে এপ্রিল মাসের গোড়ায় ক্লাসঘর তৈরিতে বাধা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচনের কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা স্কুলে থাকার ফলে ক্লাসঘর তৈরির কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি ক্লাসঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। তার দু’দিন পরে গত সোমবার আট জন বাসিন্দা গিয়ে ভবন তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন।
প্রধানশিক্ষকের দাবি, ‘‘নতুন ভবনের জন্য খেলার মাঠের কোনও অসুবিধা হবে না। খেলার মাঠ স্কুলেরই। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই মাঠে খেলাধুলা করে।” জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলে, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত যাতে ক্লাসঘর তৈরির কাজ শুরু করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy