নদীর মঙ্গল চেয়ে। নিজস্ব চিত্র
ক্রমশ বিপন্ন হচ্ছে জলঙ্গি। দূষিত হচ্ছে জল। দখল হয়ে যাচ্ছে নদীর পাড়। মানুষের অত্যাচারে নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাছ। এই পরিস্থিতিতে নদী বাঁচাতে এগিয়ে এলেন দুই পাড়ের মানুষ। বৃহস্পতিবার কবি জীবনানন্দ দাসের জন্মদিনকে সামনে রেখে করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের মানুষ জলঙ্গিতে প্রদীপ ভাসিয়ে জলঙ্গি রক্ষার শপথ নিলেন।
জলঙ্গি নদীকে রক্ষার চেষ্টা শুরু হয়েছে বছর চারেক আগে থেকে। তৈরি হয়েছে ‘সেভ জলঙ্গি’ ও ‘জলঙ্গি নদী সমাজ’-এর মতো বিভিন্ন সংগঠন। তারা ক্রমাগত চাপ তৈরি করে চলেছে প্রশাসনের উপরেও। এই চাপেই জলঙ্গির বুক থেকে বাঁধাল তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। সংগঠনের কর্মীরা নিজেরাই পুজোর পর জলে নেমে প্রতিমার কাঠামো ও অন্য আবর্জনা তোলার কাজে হাত লাগিয়েছেন। মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন।
এই কর্মকাণ্ডের অংশ হিসাবেই ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘জলঙ্গি দিবস’ পালন করা হল। কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতায় ঠাঁই পেয়েছে জলঙ্গি। তাই তাঁর জন্মদিন সামনে রেখে গত বছর থেকে এই দিনে পালিত হয় জলঙ্গি দিবস। শুক্রবার করিমপুর, ধোরাদহ, সাহেবনগর, পলাশিপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, তেহট্ট, হাঁসপুকুরিয়া, চকবিহারী (৫টি ঘাটে), চাঁদের ঘাট, দৈয়েরবাজার োষপাড়া) ,দৈয়েরবাজার (ঢাকাপাড়া), দেবীপুর ঘাট(ধুবুলিয়া), গরুইমারী, জাভা, হালদার পাড়া, ঘুর্ণি, বিসর্জন ঘাট কৃষ্ণনগর, শম্ভুনগর, তারিণীপুর ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর বুকে প্রদীপ ভাসিয়ে দিয়ে জলঙ্গি রক্ষার শপথ নেন। পরিবেশকর্মী শঙ্খশুভ চক্রবর্তী বলেন, “নদী পাড়ের মানুষ এক যোগে এগিয়ে না এলে জলঙ্গিকে বাঁচানো সম্ভব নয়। ভাল লাগছে আমাদের ডাকে তাঁরা সাড়া দেওয়ায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy