Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কান্দিতে ফেল করে বহরমপুর! বিঁধছেন বিরোধীরা

যা শুনে দিন কয়েক ধরে তাঁর খাস তালুক কান্দি জুড়ে প্রশ্নটা ঘুরপাক কাচ্ছে— তা হলে কান্দির কি হবে? প্রশ্ন উঠেছে এমনও, কান্দির অসম্পূর্ণ কাজই শেষ করতে পারলেন না যিনি তিনি কিনা সামাল দেবেন বহরমপুর?

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০৭:০০
Share: Save:

তিনি বিধায়ক, কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যানও। সেই মুকুটে আরও একটা পালক উঠেছে সদ্য—বহরমপুর পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস এর সদস্য।

দিন কয়েক হল সে দায়িত্ব পেয়ে, সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃমমূলে দলবদল করা অপূর্ব সরকার বলেছেন, ‘‘বহরমপুরের উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজনে এখানেই থাকব।’’

যা শুনে দিন কয়েক ধরে তাঁর খাস তালুক কান্দি জুড়ে প্রশ্নটা ঘুরপাক কাচ্ছে— তা হলে কান্দির কি হবে? প্রশ্ন উঠেছে এমনও, কান্দির অসম্পূর্ণ কাজই শেষ করতে পারলেন না যিনি তিনি কিনা সামাল দেবেন বহরমপুর?

প্রশ্নটা বিরোদীদের, তাই তেমন আমল দিচ্ছেন না অপূর্ব। বলছেন, ‘‘দেখুন না পারি কিনা, বিরোদীদের কাজই উন্নয়নে বাধা দেওয়া, তাই এ সব অবান্তর প্রশ্ন তুলছে।’’ অবান্তর কি না, তা নিয়ে কান্দির সাধারন মানুষ কিংবা বিরোধী নেতাদের প্রশ্নকে আমল না দিলেও, সাসক দলের বিধায়ক হিসেবে তিনি সরাসরি প্রশাকের ভূমিকায় থাকতে পারেন কিনা তা নিয়ে একটা আমতা আমকা প্রশ্ন করছেন জেলার এক তাবড় প্রহশাসনিক কর্তাও। বলছেন, ‘‘আইনের পাঁক গলে কি না হয়!’’

বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘কান্দির উন্নয়নমূলক কাজে ডাহা ফেল অপূর্ব। তিনি বহরমপুরে কি উন্নয়ন করতে এলেন। এ তো, মুখ্যমন্ত্রীর বহরমপুরের মানুষকে অপমান করে দলতন্ত্র কায়েম করা।’’ বিজেপি-র জেলার সহ-সভাপতি শাখারভ সরকারও প্রশ্নটা লুফে নিচ্ছেন। বলছেন, ‘‘নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকলে প্রশাসনের কর্তারা প্রশাসকের দায়িত্ব সামলান। কিন্তু অপূর্ব সরকারকে সেই দায়িত্ব দিয়ে বহরমপুর পুরসভায় দলতন্ত্র কায়েম করলো তৃণমূল।’’ অপূর্ব অবশ্য দমছেন না। বলেন, ‘‘পৌর আইন মেনেই যা হওয়ার হয়েছে। রাজ্যপাল যেখানে সই করেছেন সেখানে এ নিয়ে প্রশ্ন করার জায়গা কোথায়?’’ বিরোদীদের দিকে বরং তিনি পরামর্শ ছুঁড়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিরোধীরা আগে আইনটা জানুক, তার পর কথা বলুক।’’

প্রশাসকের পদ পেয়েই এ দিন অবশ্য বহরমপুর শহরের জন্য এক গুচ্ছ প্রকল্পের সূচনাও করেছেন অপূর্ব। নিকাশিনালা সংস্কার, পথনির্দেশক ফলক লাগানো হয়েছে একাধিক। শহরের ১৯টি নিকাশিনালার মধ্যে ১৩টি বহরমপুর পুরসভার আওতায়, ৬টি সেচ দফতরের তত্বাবধানে। এ দিন সেগুলির সংস্কারও শুরু হয়ে গেল। তবে, অপূর্ব সেখানে ছিলেন না।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে নিকাশিনালা যেমন অপরিস্কার রয়েছে, তেমনি আবর্জনা রয়েছে। সেগুলি এ বারে পুরসভার সাফাইকর্মীরা পরিস্কার করবেন। শহরের ১৩টি নিকাশিনালার সংস্কার কাজ শুরু হল। এ জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে বহরমপুর পুরসভা। গত সপ্তাহ থেকে বহরমপুর পুরসভা একটি গাড়ি করে জল দিয়ে রাস্তা ধুয়ে পরিস্কার করার কাজ শুরু করেছে। এ দিন রবীন্দ্রসদন থেকে এরকম আরও দু’টি গাড়ির উদ্বোধন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Kandi Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE