—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসি দুর্গে দোসর হয়েছে এ বারে সিপিএম। তবু গত লোকসভায় ৬৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা কংগ্রেস কি এ বার পারবে সুতিতে বিড়ি মহল্লায় তার দুর্গ বজায় রাখতে? বিজেপিও কি পারবে সংখ্যালঘু মহল্লায় মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করে ৫১ হাজার ভোট পুনরুদ্ধার করতে?
বিধানসভা ভোটের আগে সুতির সর্বত্রই এখন থেকেই জল্পনার শেষ নেই। চায়ের দোকান, ক্লাবের ঠেক সর্বত্রই প্রশ্ন উঠছে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিয়ে।
চার বছর আগে রাজ্যের পুরমন্ত্রী সুতির গ্রামে দাঁড়িয়ে জোর গলায় ঘোষণা করেছিলেন বিড়ি শিল্পতালুক অরঙ্গাবাদকে পুরসভা করার। দুটি ব্লক নিয়ে গড়ে ওঠা সুতি থানাকে দুটি পৃথক থানায় ভেঙে পুলিশি সুশাসন কায়েমের। কিন্তু দুটি আশ্বাসের একটিও পূরণ হয়নি।
সুতি এক সময় ছিল কংগ্রেসের দুর্গ। পরে বিড়ি মহল্লা হয়ে ওঠে বামেদের গড়। এই বিধানসভা নিয়ে ভাঙা গড়ার বিন্যাসও কম হয়নি। কখনও সুতি, কখনও অরঙ্গাবাদ নাম বদল ঘটেছে বিধানসভা কেন্দ্রের। বিড়ি শ্রমিক মহল্লায় এযাবত যারাই জয়ী হয়েছে, দেখা গেছে তাদের পেছনে খেলা রয়েছে বিড়ি মালিকদেরই। ভোট যায় ভোট আসে কিন্তু বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা কাটেনি আজও। তিন বছর অন্তর বিড়ির মজুরি বাড়ে। কিন্তু গত ৫ বছরে মজুরি বৃদ্ধি তো কোন ছাড়, চুক্তি মজুরি ১৫২ টাকার চেয়েও কম মজুরিতে বিড়ি বাঁধাই হলেও তার প্রতিবাদ কই?
সুতিতে বিজেপি আছে না থাকার মতই। গত লোকসভার ভোট প্রাপ্তি দেখে বিজেপির শক্তি যাচাই নিরর্থক। সিপিএমের বাম দুর্গও এখন ঘাস ফুলের দাপটে জেরবার। গত লোকসভায় তাদের প্রাপ্তি তাই নেমে গেছে ১০ হাজারে। দুটি দলের কারুরই একক ভাবে জেতার মত রাজনৈতিক শক্তি না থাকলেও অন্যকে হারানো বা জেতানোর চাবিকাঠি কিছুটা হলেও রয়েছে তাদের হাতে।
সুতির নির্বাচনে তাই চোখ বন্ধ রেখেই বলা যায় রাজনৈতিক দুই প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও তৃণমূল। সুতিতে তৃণমূল মানেই বিড়ি মালিক ইমানি বিশ্বাস। আর কংগ্রেস বলতেই বর্তমান বিধায়ক হুমায়ুন রেজা। ইমানি যতটা সরব, হুমায়ূণ ততটাই নীরব।
বিড়ি মালিক হিসেবে পরিচিত ইমানি ২০১১ সালেই জীবনের প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ান কংগ্রেসের হয়ে। জয়ী হন ১৭৪০৯ ভোটের ব্যবধানে। বছর ঘুরতেই কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন শাসক দল তৃণমূলে।
হুমায়ুন হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছেন। বাবা লুতফল হক বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনে সুতিতে অত্যন্ত পরিচিত নাম। তবে ইমানি বলছেন, “গত ৫ বছরে বিধায়ক হিসেবে কী করেছেন হুমায়ুন? অরঙ্গাবাদ পুরসভা হোক বিধানসভায় একবারও বলেছেন? বিড়ির পিএফ অফিস উঠে গেছে জঙ্গিপুর থেকে, মুখ খুলেছেন?”
হুমায়ুন বলছেন, “কথা হবে ভোটের ময়দানে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গুণ্ডামি, মস্তানি করিনি। অসততা করিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy