নিরঙ্কুশ হল না। তবে শান্তিপুর শহরকে মিহি প্লাস্টিকের খপ্পর থেকে মুক্ত করার লড়াইয়ের শুরুতেই অনেকটা সাফল্য মিলল। বছর শুরুর দিনে দোকানে-বাজারে ইতিউতি কিছু প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দেখা গেল বটে, কিন্তু জিন যে অনেকটাই বোতলবন্দি তা-ও স্পষ্ট হয়ে গেল। পুরসভা এ দিন জরিমানা করতে পথে নামেনি। কিন্তু শান্তিপুরবাসীই সচেতনতার সাক্ষর রেখে গেলেন। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে জরিমানা করাও শুরু হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।
বুধবার সকালে শহরের ডাকঘর মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে পেয়ারা নিয়ে বসেছিলেন মানারুল শেখ। বছর দশেক ধরে এই এলাকাতেই পেয়ারা বিক্রি করছেন তিনি। এত দিন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দিতেন। কিন্তু এ দিন তিনি খরিদ্দারদের দিয়েছেন পরিবেশবান্ধব কাপড়ের ব্যাগ। মানারুল বলেন, “মাসখানেক আগে থেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। খরিদ্দারদেরও বলে দিয়েছি, এখন এই ব্যাগেই জিনিস নিতে হবে।” তিনি জানান, একশো পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ২২-২৩ টাকা দরে কিনছেন, অর্থাৎ একটা কাপড়ের ক্যারিব্যাগের দাম পড়ছে চার আনারও কম।
শান্তিপুরের এক হোটেল ব্যবসায়ী অভিজিত বাগচিও বলেন, “দোকানে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ রাখছি না। খরিদ্দারেরা খাবার পার্সেল করে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে ফয়েলে মুড়ে কাপড়ের ব্যাগে দিয়ে দিচ্ছি।” নানা বাজারে ফুল এবং মিষ্টির দোকানেও মিহি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সে ভাবে দেখা যায়নি। বরং অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে, লোকের হাতে ঝুলছে কাপড়ের ব্যাগ।