Advertisement
০১ মে ২০২৪
নতুন চাঁদরা

সুতিতে বারুদ খুঁজতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

‘অবৈধ বারুদ’ উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সুতির নতুন চাঁদরায় হেনস্থার মুখে পড়েন সুতি থানার দুই এএসআই-সহ পুলিশ কর্মীরা। গ্রামবাসীদের অবশ্য দাবি, তল্লাশির নামে বাড়ির মেয়েদের হেনস্থা করা হলে তাঁরা রুখে দাঁড়ান। পরদিন জঙ্গিপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে ফের পুলিশকর্মীরা হানা দেয় ওই গ্রামে। অভিযোগ, বোমা বারুদ কিছু না পেয়ে এক মহিলা-সহ চার জনকে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:০৩
Share: Save:

‘অবৈধ বারুদ’ উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সুতির নতুন চাঁদরায় হেনস্থার মুখে পড়েন সুতি থানার দুই এএসআই-সহ পুলিশ কর্মীরা। গ্রামবাসীদের অবশ্য দাবি, তল্লাশির নামে বাড়ির মেয়েদের হেনস্থা করা হলে তাঁরা রুখে দাঁড়ান। পরদিন জঙ্গিপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে ফের পুলিশকর্মীরা হানা দেয় ওই গ্রামে। অভিযোগ, বোমা বারুদ কিছু না পেয়ে এক মহিলা-সহ চার জনকে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার পরে কয়েক জন পুলিশ গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ঢোকে। কিন্তু তল্লাশি চালিয়েও কোনও কিছু না মেলায় বাড়ির মেয়েদের কোথায় বারুদ লুকনো আছে তা জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু কোনও উত্তর না পেয়ে মেয়েদের শাসানো হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিরোধ পেয়ে তখনকার মতো এলাকা ছাড়ে পুলিশ। পর দিন দুপুরে জঙ্গিপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে ‘রীতিমতো সেজেগুজে’ চার গাড়ি ভর্তি পুলিশকর্মী হানা দেয় ওই গ্রামে। অভিযোগ, বোমা-বারুদ কিছুই না পেয়ে এক মহিলা-সহ চার যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি পিংলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল নতুন চাঁদরা গ্রামের আট নাবালক-সহ ৯ জন। আহত হয়েছিল আরও দু’জন। সেই ঘটনায় ওই গ্রামে গিয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে মোট ১৯ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায় তার জন্য ওই গ্রামের উন্নতির ব্যাপারটিও তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপরে পুলিশের ওই হানায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস।

বিধায়ক বলেন, ‘‘ওই গ্রামের অনেককে মারধর করেছে পুলিশ। ওসিকে ফোন করে মারধরের কারণ জানতে চেয়েছিলাম। তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করলেও মজুত বোমা-বারুদের খোঁজে তল্লাশির কথা স্বীকার করেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের বোঝা উচিত ক’দিন আগেই একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে ওই গ্রামে। পরিবেশ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সেক্ষেত্রে তল্লাশির নামে নির্যাতন বাঞ্ছনীয় নয়। দলীয় পর্যায়ে এ নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে কী ঘটেছে।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মতো পুলিশ তল্লাশি চালালে তাতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশকে হেনস্তা করবেন বা পুলিশ গ্রামবাসীদের মারধর করবে এটা ঠিক নয়।’’

জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘বাজি ও বারুদের খোঁজে জেলা জুড়েই তল্লাশি চলছে। তার খোঁজেই পুলিশ ওই গ্রামে গিয়েছিল। কোনও মারধরের বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE