Advertisement
১১ মে ২০২৪

টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিভেজা মা

আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হন হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর দেবনাথ। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়ার কথা উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় সুপ্রকাশ মণ্ডল।আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হন হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর দেবনাথ। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়ার কথা উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় সুপ্রকাশ মণ্ডল।

মজে যাওয়া যমুনা নদী। নিজস্ব চিত্র

মজে যাওয়া যমুনা নদী। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

ফতেপুরের বালিয়াডাঙার বারুনিতে খালের উপর সেতুটির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। সেই সেতু দিয়ে কোনও যানবাহন পারাপার করতে পারে না। বহু মানুষ ওই সেতু ব্যবহার করেন। সেতুটি মেরামত করলে অনেকে উপকৃত হবেন।

আন্না মণ্ডল, বালিয়াডাঙা

গত বাজেট বৈঠকে ওই সেতু মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেই কাজ হবে।

দীর্ঘদিন ধরে কোনও সংস্কার না হওয়ায় যমুনা নদী মজে গিয়েছে। ফলে বর্ষায় নদী উপচে পড়া জলে চাষের ক্ষতি হয়। নদী সংস্কার হলে গ্রীষ্মে চাষের কাজে উপকার হবে। তেমনই সমবায় সমিতি করে মাছ চাষ করলে গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।

গৌতম কীর্তনীয়া, নারায়ণপুর

যমুনা নদী পুরো হরিণঘাটা জুড়ে বিস্তৃত। সেই নদী সংস্কারের কাজ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ এবং বিধায়ক নীলিমা নাগ সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ১২ লক্ষ টাকার একটি বাজেট তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি কাজ হবে।

আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। অধিকাংশেরই কোনও ঘর নেই। খোলা আকাশের নীচে শিশুদের ক্লাস চলে। পঞ্চায়েত সমিতি যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে, তা হলে শিশুরা মাথার উপর ছাদ পায়।

মহম্মদ মনিরুল ইসলাম, ফতেপুর

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র করার টাকার কোনও অভাব নেই। সমস্যা জমির। কেউ যদি জায়গা দেন, তা হলে আমরা ঘর করে দেব। জমি কিনে ঘর করার কোনও সুযোগ আমাদের নেই।

গত কয়েক বছরে এলাকায় প্রচুর পাকা রাস্তা হয়েছে। কিন্তু ফতেপুর স্কুল মোড় থেকে সত্যপোল কদমতলা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। হাঁটাচলা করাই দায়। স্কুল পড়ুয়ারা খুব কষ্ট করে যাতায়াত করে।

শিবলাল দেবনাথ, ফতেপুর

ওই রাস্তা মেরামতের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আগামী বাজেটে বিষয়টি নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

পারুলিয়া আর সুবর্ণঘাটির মাঝের সেতুটি অনেকগুলো এলাকাকে জুড়ে রেখেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটির ভাঙাচোরা দশা। মেরামতের সুযোগ আর নেই। নতুন করে বানালে ভাল হয়।

অশোককুমার সরকার, সোনাকুড়

বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। বিডিও ও আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির দলনেতা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে বাঁশের সেতু চালু করেছেন। খুব দ্রুত নতুন সেতু তৈরি হবে।

আমাদের এলাকায় ৩৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তার মধ্যে মাত্র সাতটির নিজস্ব ঘর রয়েছে। তিনটি চলে অন্যের বাড়িতে। বাকিগুলি চলে খোলা আকাশের নীচে। শিশুদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করা যায় না? প্রয়োজনে খাস জমি এই কাজে ব্যবহার করা হোক।

বিমল সরকার, পারুলিয়া

শিশুদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করাই যায়। এ ক্ষেত্রে টাকা কোনও বাধা নয়। সমস্যা জমির। বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই জায়গা দিয়েছেন। আমরা ঘর করে দিয়েছি। সরকারি জমি পাওয়া যায় কিনা দেখছি।

আমাদের এলাকায় সুটি নদীর পাড়ে প্রচুর সরকারি জায়গা। নদীর কিছুটা সংস্কার দরকার। আপনারা যদি সরকারি জায়গায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক করেন, তা হলে আয়ও বাড়ে।

মাওলাবক্স মণ্ডল, সত্যপোল

এই ধরনের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কিন্তু, তার জন্য আমাদের হাতে অত টাকা নেই। এই বিষয়টি বিধায়ক দেখছেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন।

বসন্তপুর-নারায়ণপুরের রাস্তা পাকা হল না এখনও। নিজস্ব চিত্র

মোল্লাবেলিয়া ও পানপুরে দু’টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেগুলির ভগ্ন দশা। ফলে প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে সেখানে রোগীদের যেতে হয়। ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বিল্ডিং মেরামতের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

অসীম দাস, হাজরাবেলিয়া

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মেরামতির কোনও সুযোগ আমাদের নেই। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসনকে জানাব।

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রতি বুধবার প্রসূতি মায়েরা যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনে কোনও ছাউনি নেই। ভিতরেও এক সঙ্গে বেশি জন বসতে পারেন না। ফলে, ঝড়-জলে তাঁদের কষ্ট করে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একটা ছাউনির ব্যবস্থা যদি করা যায়।

পার্থ রায়, বাঁশবোনা

ছাউনির জন্য তেমন কিছু খরচ হবে না। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বলে দেব। তারাই ব্যবস্থা করে দেবে।

আমাদের এলাকায় সাড়ে চারশো বিঘার একটি বড় বিল রয়েছে। এলাকায় মাছের যোগানের অন্যতম ভরসা এই বিল। বিলের চারদিকে আরও সাড়ে চারশো বিঘা জায়গা রয়েছে। ফি শীতে প্রচুর মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসে। বিলটির সংস্কার দরকার। আর তার চারপাশ যদি সাজানোর ব্যবস্থা হয় ভাল হয়।

বিকাশ ঘোষ, নিমতলা বাজার

ওই বিল সংস্কার ও পাড় সাজানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি। কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Haringhata Panchayat Pradhan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE