Advertisement
১১ মে ২০২৪

বিদ্যুৎ চুরি রঘুনাথগঞ্জে, ক্ষোভ

পুরসভার মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা সাঁতার সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের সদরঘাটে দাদাঠাকুর মঞ্চে ওই ঘটনা ঘটে। রবিবার আহিরণ থেকে বহরমপুর পর্যন্ত ভাগীরথী নদীতে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অন্যান্য বারের মতো এ বারও আগের দিন রাতেই প্রতিযোগীদের নিয়ে আসা হয় রঘুনাথগঞ্জে।

চলছে হুকিং। নিজস্ব চিত্র

চলছে হুকিং। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৭
Share: Save:

পুরসভার মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা সাঁতার সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের সদরঘাটে দাদাঠাকুর মঞ্চে ওই ঘটনা ঘটে। রবিবার আহিরণ থেকে বহরমপুর পর্যন্ত ভাগীরথী নদীতে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অন্যান্য বারের মতো এ বারও আগের দিন রাতেই প্রতিযোগীদের নিয়ে আসা হয় রঘুনাথগঞ্জে। শনিবার সন্ধ্যাতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্থার জঙ্গিপুর শাখা। এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্তাও। সাঁতারুদের সঙ্গে পরিচয়ের পর রাত পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অভিযোগ, বেশ ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে মঞ্চের পিছন থেকে হুকিং করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে মঞ্চে এতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হাজির ছিলেন সেখানে এ ভাবে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি হল কেন? এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি সংস্থার কর্তারা। বরং তাঁদের কেউ কেউ বিষয়টি ‘জানা ছিল না’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। শনিবার সন্ধ্যার গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন সন্তরণ সংস্থার জঙ্গিপুর শাখা কমিটির আহ্বায়ক প্রদীপ নন্দী। দায় ঝেড়ে ফেলে তিনি বলেন, “মঞ্চ আলোকিত করতে কোথা থেকে, কী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল তা আমার জানা নেই। এগুলো আমি দেখিনি। কার উপর ভার ছিল তাও বলতে পারব না।”

এ দিকে রঘুনাথগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের সহকারি বাস্তুকার দীপেন্দু নন্দী বলেন, “এত বড় একটি অনুষ্ঠানে এ ভাবে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি হলে তা লজ্জার। এটা অবশ্যই বিদ্যুৎ চুরি বলেই গণ্য হবে।’’

তিনি জানান, বিদ্যুৎ দফতরের কাছে টাকা মেটাতে বাধ্য থাকবে জঙ্গিপুর পুরসভা। কারণ হুকিং করা হয়েছে নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় তারের সঙ্গে। ওই তার থেকে শহরের রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, যার দাম মেটায় জঙ্গিপুর পুরসভা। কাজেই হুকিং করে রাত পর্যন্ত যত বিদ্যুৎ পুড়েছে তার সম্পূর্ণ খরচই বহন করতে হবে জঙ্গিপুর পুরসভাকে।

জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “পুরসভার মঞ্চ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল ওই সংস্থাকে। এ ভাবে বিদ্যুৎ চুরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা অবৈধ। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা আর না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে পুরসভা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE