Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ত্রাণশিবির বন্ধ হচ্ছে না এখনই

এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হোসেনপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ফরাক্কার বিডিও এবং ফরাক্কার পুলিশ কর্তারা। বন্যার জল নেমে গিয়ে হোসেনপুরে এখন জেগে উঠেছে জমি। যদিও অধিকাংশ বাড়িঘর এখন বসবাসের মতো অবস্থায় নেই। অথচ নিউ ফরাক্কার সরকারি ত্রাণ শিবির থেকে ওই পরিবারগুলিকে গ্রামে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। 

এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ত্রাণ শিবির চালানো সম্ভব নয় বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। ফাইল চিত্র

এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ত্রাণ শিবির চালানো সম্ভব নয় বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
হোসেনপুর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৯
Share: Save:

ভাঙনে বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় হোসেনপুরের প্রায় আড়াইশো পরিবার রয়েছেন ফরাক্কার ত্রাণ শিবিরে। কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জল নামছে কিন্তু হোসেনপুরে উঁচু জমি বলে কিছু নেই। ফলে তাঁরা গ্রামে ফিরতে পারছেন না।

এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ত্রাণ শিবির চালানো সম্ভব নয় বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবার ত্রাণ শিবির ছেড়ে যাবে না জানিয়ে দিয়েছেন।

এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হোসেনপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ফরাক্কার বিডিও এবং ফরাক্কার পুলিশ কর্তারা। বন্যার জল নেমে গিয়ে হোসেনপুরে এখন জেগে উঠেছে জমি। যদিও অধিকাংশ বাড়িঘর এখন বসবাসের মতো অবস্থায় নেই। অথচ নিউ ফরাক্কার সরকারি ত্রাণ শিবির থেকে ওই পরিবারগুলিকে গ্রামে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

ফরাক্কা ব্লক অফিসে পুলিশ, পঞ্চায়েত ও সরকারি অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লকের বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী। সেখানেই ঠিক হয় বানভাসিদের একে একে গ্রামে ফেরানোর। কিন্তু গ্রামের অন্তত আড়াইশো পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে, সমস্যা সেই সব পরিবারগুলিকে নিয়ে।

রামকুমার মণ্ডল, হরেন মণ্ডল, হরিপদ মণ্ডল, জ্যোৎস্না সরকার, লক্ষ্মী সরকারের মত সকলেই ভিটে হারিয়েছেন গঙ্গার ভাঙনে। তাঁরা যাবেন কোথায়? হরিপদ বলছেন, “পাকা দালান বাড়ি ধসে গেছে চোখের সামনে। সামান্য জমিও নেই গ্রামে যে ফের সেখানে গিয়ে বসতি গড়ব। পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত ত্রাণ শিবির ছেড়ে কোথাও যাব না।’’

নয়নসুখের পঞ্চায়েত প্রধান সুলেখা মণ্ডল জানান, “পুনর্বাসন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু কোথায় দেবে, তা চিন্তার!’’
ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মালতী মণ্ডল ঘোষ বলেন, “হোসেনপুরে ভাঙন রোখার দায়িত্ব ছিল ফরাক্কা ব্যারাজের। কিন্তু ১৬ কোটি টাকা খরচ করেও ভাঙন রোখা যায়নি। তাই ফরাক্কা ব্যারাজের কাছে দাবি জানানো হয়েছে পুনর্বাসনের জমির।”

তবে ফরাক্কা ব্যারাজের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ কুমার সিং বলেন, “ পুনর্বাসনের জন্য জমি দেওয়ার দাবি এসেছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”

জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ত্রাণ শিবির বন্ধ করা হবে। তার আগে নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murshidabad Flood Relief Camp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE