নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের শুরু থেকেই পড়ুয়াদের পড়াশোনার বিকল্প পন্থা ভেবেছিলেন চাকদহের বিষ্ণুপুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। তৈরি করে ফেলেছিলেন ইউটিউব চ্যানেল। সেই মতো ক্লাসও চলছিল। কিন্তু প্রচুর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক সুশীতাভ ভট্টাচার্য ব্যাখা করলেন, স্কুল এখন কোয়রান্টিন কেন্দ্র। তার উপর ইউটিউবে পড়াশোনায় ছাত্র-শিক্ষকদের সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছিল না। গ্রামীণ এলাকার বহু পরিবারের হাই স্পিডের ইন্টারনেট সংযোগ নেই। স্মার্ট ফোনও নেই। শিক্ষকেরা তখন আলোচনা করে ঠিক করেন, আনলক পর্বে ছোট-ছোট গ্রুপ বানিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোনও পড়ুয়ার বাড়িতে ক্লাস হবে। ‘ আমার স্কুল, আমার বাড়ি’ ধারণাকে সামনে রেখে ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে রয়েছে ৮২ জন পড়ুয়া। তাদের ১২ জন করে সাতটি দলে ভাগ করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই একটি দলকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘আমার স্কুল, আমার ঘরে’। এ দিন বিষ্ণুপুর গ্রামের সুজাউল ইসলামের বাড়ির বাগানে ওই ক্লাস হয়। পরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ঘরের ভিতরেই চলে পঠন-পাঠন। স্কুলের পোশাক পরেই হাজির হয়েছিল ছাত্ররা। সকলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে মাস্ক পরে ঢোকে ক্লাস। এতদিন পরে বন্ধুদের পেয়ে খুশি সব পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষক সুশীতাভ ভট্টাচার্য নিজে প্রথম ক্লাস নিয়েছেন। সুমিতা দাস ভৌত বিজ্ঞান ও মানস রায় জীবন বিজ্ঞান ক্লাস করিয়েছেন। এর পর থেকেই অষ্টম শ্রেণির প্রতিটি দল সপ্তাহে তিন দিন করে ক্লাস করার সুবিধা পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy