নওদার কেদারচাঁদপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল মাস দু’য়েক আগে। এ বার ওই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিলেন বহরমপুরের মহকুমাশাসক।
অভিযোগ, কাজ না করে ভুয়ো ‘মাস্টার রোল’ বানিয়ে কংগ্রেস পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের কর্তারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে মূলত ওই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজনের একাংশের দাবি, গত তিন বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই প্রধান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছেন। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মীও। লোকজনের অভিযোগ, স্থানীয় বিডিওকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এ বার মহকুমাশাসক নওদার বিডিওকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেদারচাঁদপুর এলাকার মানুষ লিখিতভাবে জানিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে গ্রামের রিভার পাম্প থেকে আনন্দ হাজরার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তায় মাটি ফেলার জন্য ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। সে টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদপে ওই রাস্তায় এক ঝুড়িও মাটি পড়েনি। নির্মল মণ্ডলের জমিতে পুকুর সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা খরচ হিসেবে দেখিয়েছে পঞ্চায়েত। কিন্তু গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, ওই পুকুর সংস্কার হয় নি। গ্রামের একটা ছোট রাস্তার মাটি কাটার জন্য ১০০ শ্রমিকের কে কাজ করিয়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। এছাড়া মান্ধাতার আমলের নর্দমা সংস্কার, পুকুর পাড়ে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ফেলার কাজ না করেই টাকা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ব্লকে এ সব অভিযোগ এলাকার লোকজন লিখিত ভাবে জানান। স্থানীয় বাসিন্দা সিজামউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও তদন্ত হচ্ছিল না।’’ আরএসপির স্থানীয় নওদা লোকাল কমিটির সদস্য আনন্দমোহন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই কাজের মাস্টার রোল তৈরি হয়েছে ঘরে বসে। পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর সহকারি কিছু অসৎ কর্মী ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’’ তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি নূর হোসান শেখ বলেন, ‘‘প্রধানের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত দাবি করছি।’’ এ বিষয়ে বিডিও লিটন সাহা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রধান সৌমন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশাসন তদন্ত করুক।’’ বহরমপুরের সদর মহকুমাশাসক দিব্যনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই দুনীর্তির অভিযোগের তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বিডিওকে।’’
প্রশিক্ষণ শিবির। আচমকা আগুন লাগলে কী ভাবে তার সঙ্গে যুঝতে হবে, তার জন্য কর্মী ও নার্সদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেন কাটোয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ওই প্রশিক্ষণ তিন দিন ধরে চলবে। হাসপাতালের সহকারি সুপার অনন্য ধর জানান, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কী ভাবে চালানো হয়, আগুন লাগলে কী ভাবে রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এ সবই শেখানো হচ্ছে। বছরে দু’বার করে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy