মহ্যমপুরের আর বদল ল না!
বুধবার দুপুরে বেলডাঙার ওই গ্রাম থেকে ৩৩টি সকেট বোমা উদ্ধার করল বোম্ব ডিস্পোসাল স্কোয়াড।
পরে সেই বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করল সিআইডি। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে বোমাগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় মাঠে পরেছিল।
মাসখানেক ধরে খুন থেকে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত মহ্যমপুর। ভর দুপুর কিংবা সাঁঝবেলা— গ্রামের মানুষ বাইরে পা রাখতেই ভয় পান। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের আনাগোনা গিয়েছে কমে। গ্রামের মুদির দোকানও দুষ্কৃততী দৌরাত্ম্যে কখনও কেমনে খোলে।
তার মাঝেই ওই বোমা উদ্ধার।
ওই দিন ডহর পাড়া ও বাগান পাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ৩৩টি বোমা গ্রামের লাগোয়া ভাগীরথী নদীর লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় নিস্ক্রিয় করা হয়। বিরাট পুলিশ বহিনীর সঙ্গে দমকল ও বোমা ডিস্পোসাল স্কোয়াডের সদস্যরা এ দিন পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করেন। পুরো টিমের পরিচালনা করেন ডিএসপি (ডিএন্ডটি) দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। কিন্তু কী ভাবে গ্রামে বোমা মিলছে ?
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে এলাকা দখল ঘিরে গত ২২ জুন থেকে এলাকায় বোমাবাজি ও পাল্টা বোমাবাজিতে এলাকা উত্তপ্ত। অভিযোগ কংগ্রেস ও তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা প্রথম দিকে নিজেদের মধ্যে বোমাবাজিতেই মেতে থাকত। সেই সময়েই পুলিশের নজর এরিয়ে গ্রামে প্রচুর বোমা মজুত হয়েছে। কিন্তু ২৪ জুলাই তৃণমূল কর্মী খুনের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
এর পর থেকে গ্রামে বোমা ঢোকা পুরো বন্ধ হয়েছে এমন নয়। স্থানীয় মানুষের কথায় গ্রামের দুটো জায়গায় পুলিশের নজরদারি আছে। কিন্তু ভাগীরথীর পাড়ের এই গ্রামে ঢোকা আরও চারটি পথ আছে। মনে করা হচ্ছে বোমা মূলত ঢুকছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মির্জাপুর গ্রাম হয়ে। গ্রামে ঢুকে ভাগীরথীর বাঁধ হয়ে মহ্যমপুর ডহরপাড়া এলাকায় নিয়ে য়াওয়া হয়েছে।
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আগের থেকে অনেক স্বাভাবিক হয়েছে মহ্যমপুর। গত ২৪ জুলাই ওই গ্রামের আসর আলি শেখ(৩০) খুন হয়। সে তৃণমূলের কর্মী ছিল। কিন্তু তারপর গত ১০ দিন কেটে গেলেও গ্রামে কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। উত্তপ্ত গ্রাম কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দুটি পুলিশ পিকেট বসান হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মহ্যমপুর গ্রামের বকুলতলা এলাকায় সভা করবেন তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে থাকবেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ও দলীয় বিধায়করা। তাদের দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদ ও শোকসভা করতে মন্ত্রী বেলডাঙা আসছেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
বহরমপুরে উৎসব। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হল ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক উৎসব। বাংলাদেশের মিলিত উদ্যোগ ৫ দিনের ওই ৯ দিনের ওই উৎসব চলবে আগামী ১১ অগস্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক
আনুকূল্যে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বহরমুর রবীন্দ্রসদনে নাচ, গান জাতীয় ৯ দিনের সাংস্কৃতিক উৎসব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy