কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হল হরিণঘাটাতেও।
বুধবার সকালের ঝড়ে কমপক্ষে ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশে ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। ৪০টির মতো পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তাঁদের বিভিন্ন স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমপক্ষে হাজার দু’য়েক গাছ ভেঙেছে। উপড়ে গিয়েছে বেশ কিছু গাছ। বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা বিদ্যুৎহীন! হরিণঘাটা এলাকায় সব মিলিয়ে তিন জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের উদ্যোগে বিলি হয়েছে খিচুড়ি। এলাকায় রয়েছে মেডিকেল টিমও।
ঝড়ের সময় ঘরে বসেছিলেন বছর পঞ্চাশের সাধন দাস। পেশায় কৃষক সাধনবাবু বলেন, ‘‘হঠাৎ কেমন যেন শব্দ হল। তারপর দেখি কী ভয়ঙ্কর ঝড়ো হাওয়া, সঙ্গে গাছের ডাল ভাঙার শব্দ। হঠাৎ বিদ্যুৎও চলে গেল। এ ধরনের ঝড় কোনও দিন দেখিনি।’’ ঝড়ে দোকানের সব তছনছ হয়ে গিয়েছে, জানালেন পেশায় ব্যবসায়ী পরেশ দাস। তিনি বলেন, ‘‘তখন দোকানে ছিলাম। হঠাৎ একটা সাঁ সাঁ আওয়াজ। মুহূর্তের মধ্যে দোকান ঘরের চাল উড়ে গেল! বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করল জিনিসপত্র।’’ উড়ে যাওয়া চালের খোঁজ এখনও পাননি পরেশবাবু। উড়ে আসা টিনের আঘাতে পা কেটেছে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সন্দীপ দাসের।
হরিণঘাটা ব্লকের নগরউখড়া ১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসবেড়িয়া, সোনাকুড়া, উত্তর চান্দা আদিবাসী পাড়া, দক্ষিণ চান্দা গ্রামে কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে ওই বিপর্যয় ঘটেছে। স্থানীয়দের কথায়, দাসবেড়িয়া এলাকা দিয়ে ঝড়টা এসেছিল। সেটা বাকি গ্রামগুলির উপর দিয়ে বয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ার দিকে চলে যায়। যে সব এলাকা ঝড় গিয়েছে সেই এলাকার বহু গাছ হয় পড়ে গিয়েছে, নতুবা হেলে গিয়েছে। বহু জায়গায় উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy