E-Paper

অসমাপ্ত ডাইনিং হল, বারান্দাতেই পড়ে পাত   

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এলাকায় বেশ নামডাক। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাতশো।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৫
অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে ডাইনিং হল। নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে ডাইনিং হল। নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

ডাইনিং হল অর্ধেক তৈরি হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোনও খাওয়ার জায়গা নেই। তাই মিড-ডে মিল খেতে পড়ুয়াদের ভরসা বিদ্যালয়ের বারান্দা। নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগেও বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ডাইনিং হল ছিল। ব্লক প্রশাসন ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ার জন্য পাকা ডাইনিং হল তৈরির কাজ শুরু করে। অভিযোগ, কিছুটা এগোনোর পর হয়ে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। তাই ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য হয়ে বারান্দায় খেতে বসতে হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্লক ও শিক্ষা দফতরে একাধিক বার সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অভিভাবকের একাংশ জানান, তাঁরাও নাকাশিপাড়া ব্লকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি সেই তিমিরেই।

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এলাকায় বেশ নামডাক। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাতশো। এত পড়ুয়াকে ক্লাসরুমে বসে খাওয়ানো সম্ভব নয়। তাই বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে দুপুরের খাবার খায় পড়ুয়ারা।

অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, যেখানে শিশুদের মিড-ডে মিল নিয়ে সরকারের এত চিন্তা, সেখানে শিশুরা কোথায় বসে খাচ্ছে তা নিয়ে হুঁশ নেই প্রশাসনের। কেন এতদিন ধরে ডাইনিং হলের কাজ বন্ধ, ঠিকাদারকে বারবার বলার পরেও কেন কোনও কাজ হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

এক অভিভাবক বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘‘দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ডাইনিং হলের কাজ বন্ধ। শিশুরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করছে। আমাদের আবেদন, প্রশাসন বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিক। তড়িঘড়ি ডাইনিং হল তৈরির ব্যবস্থা করুক।"

প্রধান শিক্ষক উদয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সমস্যার কথা আমি স্থানীয় বিডিও ও এসআই দফতরে জানিয়েছি।"

নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, "বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ওই ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ শুরু না-করলে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হবে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mid Day Meal nakashipara

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy