জঙ্গিপুরে আইনজীবীদের কর্মবিরতির মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ল। গত ২৬ মে থেকে চলছে এই কর্মবিরতি। এই নিয়ে তৃতীয় বার কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হল।
কেন টানা কর্মবিরতি, সে প্রশ্নে ফের একই যুক্তি শুনিয়েছেন জঙ্গিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘হাজার হাজার মামলা জমে রয়েছে জঙ্গিপুরের এসিজেএম আদালতে। একটি ফাস্ট ট্রাক আদালতও বিচারক না থাকায় বন্ধ। হয়রান হচ্ছেন মানুষ। তাই এই কর্মবিরতি।’’ তিন দফায় ২০ দিন ধরে কর্মবিরতি চললেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসন, বিচার বিভাগ কেউই আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসেননি। এমনকি এ নিয়ে কর্মবিরতি পালন করা ছাড়া আইনজীবীদের আর কোনও আন্দোলনও চোখে পড়েনি।
সোমবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন ওঠে এই কর্মবিরতির অর্থ কি, আন্দোলন না নিছক গরমের ছুটি কাটানো? মামলার পাহাড় জমলে তো আরও বেশি করে কাজ করা উচিত, বলছেন বিচারপ্রার্থীদের পরিজনেরা। দীর্ঘ দিন আদালত বন্ধ থাকায় বহু মানুষ লঘু অপরাধেও জেলে রয়েছেন। ১৯ জুন থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। রমজান মাস শুরু হলে অনেকেরই ভোগান্তি বাড়বে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা মানছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রোজার বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঠিক হবে কর্মবিরতি আর চালানো হবে কি না!’’ ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের।
অনেকেরই আশা ছিল আইনজীবীরা সোমবার কর্মবিরতি তুলে নেবেন। জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে এ দিন বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল ভালই। তাঁরা অনেকেই দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন যদি অচলাবস্থা কাটে! তারপরে একে একে বাড়ি ফিরেছেন সকলেই। তাঁদেরই একজনের কথায়, বাবুদের গরমের ছুটি শেষ হলে তবেই শুনানি শুরু হবে। গরমের মধ্যে ঠায় অপেক্ষা করে শেষমেষ বাড়ি ফিরেছি। জঙ্গিপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি সরকারি কর্মচারি। নিজে আদালতে হাজির হলেও আইনজীবীরা না থাকায় কোনও মামলারই শুনানি হচ্ছে না। দু’একজন ব্যক্তিগত জমিনে ছাড়া পেলেও বাকিরা জেল হেফাজতে যাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy