Advertisement
E-Paper

লালারসের নমুনা-পাত্র পড়ে ডাস্টবিনে, চাঞ্চল্য

সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার যাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল, রবিবার দুপুর থেকে তাঁদের ফোন করে ফের সোমবার নমুনা দিতে আসার জন্য বলা হয়। এদিন ফের তাঁরা লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছেন বলে খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৯
পড়ে রয়েছে কন্টেনার। নিজস্ব চিত্র

পড়ে রয়েছে কন্টেনার। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালের ডাস্টবিনে পড়ে রয়েছে লালারস সংগ্রহের একাধিক কন্টেনার। তার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনা সামনে আসতেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে আবর্জনা ফেলার পাত্র। সোমবার সকালে সেখানে লালারসের নমুনা সংগ্রহের কন্টেনার পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে কন্টেনারগুলির ঢাকনা আঁটা ছিল। কন্টেনারের গায়ে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল যে ১৯ সেপ্টেম্বর তাতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে। দেওয়া রয়েছে আইডি নম্বরও। যাঁদের কাছ থেকে ওই নমুনা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের নামও লেখা কন্টেনারের গায়ে।

সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার যাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল, রবিবার দুপুর থেকে তাঁদের ফোন করে ফের সোমবার নমুনা দিতে আসার জন্য বলা হয়। এদিন ফের তাঁরা লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছেন বলে খবর। নওদার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার আমাদের পরিবারের পাঁচ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছিলাম গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে হাসপাতালের তরফে ফোন করে আজ ফের নমুনা দিতে আসতে বলা হল। আজ ফের পাঁচ জনই লালারসের নমুনা দিলাম।’’

শনিবার লালারসের নমুনা দিয়েছিলেন পরেশনাথপুর গ্রামের আশিস দাস ও দেবাশিস দাস, মহম্মদপুর গ্রামের খোকন শেখ। তাঁদেরও ফোন করে ফের নমুনা দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে কেন এমন ঘটল, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার যাঁদের লালারস নেওয়া হয়েছিল, আজ তাঁদের ফের ডাকা হয়েছিল নমুনা নেওয়ার জন্য। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’ কিছু যে একটা গোলমাল হয়েছে, তা বলছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। কিন্তু কেউ-ই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। লালারস সংগ্রহের পর সেই কন্টেইনার ল্যাবরেটরিতে না পাঠিয়ে ডাস্টবিনে কেন? অনেকেই বলছেন, কেন এমন ঘটনা ঘটল, এর পিছনে কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতি আছে কিনা তা তিয়ে দেখা দরকার। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা জরুরি। এ নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুকেশকুমার সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘নাম নথিভুক্ত করার পর রোগীকে কন্টেনার দেওয়া হয়। তারপরও অনেক রোগী লালারসের নমুনা না দিয়ে বাড়ি চলে যান। এক্ষেত্রেও হয়তো তা-ই হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’ শনিবার যাঁদের লালারস নেওয়া হয়েছিল এদিন তাঁদের ফের ডাকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লালারসের নমুনা সংগ্রহে ত্রুটির জন্যই নতুন করে নমুনা নেওয়া হল।’’

Covid19 Testing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy