প্রতীকী ছবি।
বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার সকালে জিয়াগঞ্জে খুন হলেন তৃণমূলের এক কর্মী। নিহত ওই ব্যক্তির নাম হারাধন মণ্ডল (৫০)। বাড়ি জিয়াগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খালিস্তান পাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাজার সেরে স্কুটিতে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়। তাঁর পিঠে, গলায় ও হাতে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। স্কুটি নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান হারাধন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ম়ৃত বলে জানান।
ওই ঘটনায় পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহা বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বারো বছর আগে দলীয় অন্তর্কলহের জেরে কংগ্রেসের এক কর্মী খুনের ঘটনায় হারাধন মণ্ডলের নাম জড়িয়ে যায়। ওই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। হারাধন এক সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত থাকলে বছর খানেক আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূলের জিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘হারু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু তার খুন হওয়ার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। হারাধন মাছচাষ ও জমি কেনাবেচার ব্যবসা করত। ওই খুনের নেপথ্য সেই ব্যবসা, না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।’’ হারাধনের পরিবারও ওই খুনের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে জানান। তাঁর স্ত্রী অনিতা মণ্ডল ও ছেলে অয়ন মণ্ডল দু’জনেই জানান, জমি কেনাবেচা, ও পুকুরে মাছ চাষ করা নিয়ে বিবাদ চলছিল বলে তাঁরা জানেন। তাই ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণে ওই খুন বলেই তাঁরা মনে করছেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এ দিনের খুনের সঙ্গে আগের কোনও খুনের যোগ রয়েছে কি না সে সবও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘তদন্ত করে ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার কথা পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy