Advertisement
০৫ মে ২০২৪

প্রসূতি-মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক

প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের দাবি মেনে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের বাগআঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা আল্পনা রাজবংশী (২১) শনিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ০০:০৩
Share: Save:

প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের দাবি মেনে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের বাগআঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা আল্পনা রাজবংশী (২১) শনিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে নিয়ে সিজার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। হাসপাতালের দাবি, অস্ত্রোপচার চলাকালীনই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্পনাদেবী। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “অসুস্থতার খবর পেয়ে আমিও ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ওই মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই অবস্থাতেই সন্তান প্রসব করিয়ে তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” সেই মতো অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে ওই প্রসূতিকে জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রাস্তায় সমস্যা হলে যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা যায়, তার জন্য হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ নার্স, এক জন অ্যানাস্থেটিস্ট চিকিৎসক ও এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে সঙ্গে রাখা হয়। কিন্তু কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।

এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তার পরিবার। রাতেই জেএনএম থেকে মৃতদেহটি নিয়ে আসা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরে দেহটি রেখে দিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মৃত ওই প্রসূতির স্বামীর বক্তব্য, “যখন সিজার করাতে নিয়ে গেল, তখন কেন চিকিতসকরা বুঝতে পারলেন না যে আমার স্ত্রী অসুস্থ। তা ছাড়া নিজেদের যদি দোষ নাই থাকে, তা হলে কেন ডাক্তার ও নার্স নিজেরাই অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে গেল কল্যাণীতে।”

যদিও জেএনএম কর্তৃপক্ষও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগ বলেই জানিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় জানান, সিজারের সময় হৃদরোগের আশঙ্কা থাকেই। তিনি বলেন, “বরং যে ভাবে আমার চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁকে পরিবারের হাতে ছেড়ে না দিয়ে কল্যাণী পর্যন্ত ছুটেছিল তা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE