কেউ মারা গিয়েছে বছরখানেক আগে, কেউ ছ’বছর আগে। অথচ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এরকম বেশ কয়েকজন মৃতদের নামে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে করিমপুর ২ ব্লকের ধোড়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, নির্মাণ সহায়ক, জিআরএস, কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় পশ্চিম দোগাছির পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দল তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মহিরুদ্দিন শেখ বলেন, “মৃত কোনও ব্যক্তির নাম মাস্টার রোলে থাকা উচিত নয়। তাছাড়া মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলাও বেআইনি। অথচ এই পঞ্চায়েতে তেমনটাই হয়েছে।” কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেছেন যে, তিনি কোনও কাজই করেননি। অথচ তাঁর নামে পোস্ট অফিস থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ধোড়াদহের ফাঁসিতলাপাড়ার আমির শেখ মারা গিয়েছেন ছ’বছর আগে। স্ত্রী জাহেমা বেওয়া বলেন, “স্বামী মারা গেলেও তাঁর নাম জবকার্ডে এখনও রয়ে গিয়েছে। ওই কার্ডেই আমার ছেলে কাজ করে টাকা পেয়েছে। কোনও ভুল যদি হয়ে থাকে সেটা পঞ্চায়েতের, আমাদের নয়।” ধোড়াদহ ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের তহমিনা বিবি বলেন, “আমি সব বুথের খবর জানিনা। তাছাড়া একশো দিনের কাজ দেখেন নির্মাণ সহায়ক ও জিআরএস। আর এই কাজে ছোটখাট ভুল থাকলেও থাকতে পারে।” ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অধীর মজুমদার বলেন, “ মৃত ব্যক্তির নামে টাকা ওঠার কথা নয়। এমনও হতে পারে যে, মৃতের পরিবারের কেউ ‘৪ ক’ ফর্ম জমা দিয়ে একশো দিনের কাজ চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা অফিসের কাগজ খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়।” তেহট্টের মহকুমাশাসক অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একজনের জবকার্ডে তাঁর পরিবারের ছেলে বা স্ত্রী কাজ করতে পারেন। কিন্তু কেউ মারা গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কথা পঞ্চায়েতে জানানো উচিত এবং পঞ্চায়েত জবকার্ডে সেই পরিবারের পরবর্তী প্রধানের নাম নথিভুক্ত করবে। তবে ওই পঞ্চায়েতে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy