Advertisement
১১ মে ২০২৪

ঘর গোছাতে মরিয়া কংগ্রেস

বৃহস্পতিবার যদি তৃণমূলের দিন হয়, তা হলে শুক্রবার কংগ্রেসের। তৃণমূলের দখলে থাকা হরিহরপাড়ার ধরমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানকে এ দিন অপসারিত করার পরে এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস। হরিহরপাড়া ব্লকের রুকুনপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সালম মণ্ডল-সহ মোট ৪ জন তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫২
Share: Save:

বৃহস্পতিবার যদি তৃণমূলের দিন হয়, তা হলে শুক্রবার কংগ্রেসের। তৃণমূলের দখলে থাকা হরিহরপাড়ার ধরমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানকে এ দিন অপসারিত করার পরে এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস। হরিহরপাড়া ব্লকের রুকুনপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সালম মণ্ডল-সহ মোট ৪ জন তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই ৪ জনের মধ্যে ২ জন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেওয়ায় গত বুধবার অনাস্থা ভেটে সালামকে উপ প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। কংগ্রেসের দাবি, এটাও একটা বদলা। শুধু বদলা নেওয়াই নয়, ঘর গোছাতেও কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। তার ফলও মিলতে শুরু করেছে। বামেদের দখলে থাকা বড়ঞা ব্লকের বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে দিন কয়েক আগে অনাস্থা ভোটে অপসারণ করে কংগ্রেস। শুক্রবার কংগ্রেসের বাণী পালকে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত করা হয়।

এত দিন বড়ঞায় কংগ্রেসের দখলে ছিল একটি পঞ্চায়েত। বিপ্রশেখর হাতে আসায় বেড়ে কংগ্রেসের দখলে হল ২টি পঞ্চায়েত। তবে দল বদলের জেরে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। সম্প্রতি বড়ঞা, হরিহরপাড়া ও রঘুনাথগঞ্জ মিলে ৩টি ব্লক এলাকায় মোট ১০টি পঞ্চায়েতে ক্ষমতার হাত বদল হয়। ওই ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি ছিল বামেদের দখলে। একটি কংগ্রেসের দখলে। বাকি ২টির মধ্যে একটি ছিল তৃণমূলের দখলে আরও একটির উপপ্রধান ছিল তৃণমূলের। তৃণমূলের হরিহরপাড়া ব্লক সভাপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, “রুকুনপুর পঞ্চায়েতের আমাদের ২ জন সদস্যকে কংগ্রেস কিনে নেওয়ায় উপ প্রধান সালামকে অপসারিত হতে হয়।”

ধরমপুর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূলের ৫ জন সদস্য দলীয় প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে নানা কারণে ক্ষুব্ধ। তাঁরা অনাস্থা ভোটে প্রধান ও উপপ্রধানকে অপসারণ করে।” হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মির আলমগীর পলাশ বলেন, “সদস্য কেনাবেচার অভিযোগ ভিত্তিহীন। দুর্নীতির কারণে রুকুনপুরের ২ জন তৃণমূল সদস্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। একই কারণে ধরমপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ৫ জন সদস্য নিজেদের নির্দল বলে ঘোষণা করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।”

অন্য দিকে বড়ঞা, খড়গ্রাম, রঘুনাথগঞ্জের বেশ কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্য দলত্যাগ করলেও কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে কেবল একটি পঞ্চায়েত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ‘গড়’ হিসাবে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলায় সূচাগ্র মেদিনীও তৃণমূলকে ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। সেই নাছোড় মনোভাবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের সম্মেলন উপলক্ষে। আগামী কাল সকালে সাড়ে ১০টায় বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলে হবে প্রতিনিধি সম্মেলন। দুপুরে প্রকাশ্য সভা হবে গ্রান্টহল ময়দানে। আজ, শনিবার সন্ধ্যায় কুঞ্জঘাটার ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মশাল মিছিল।

প্রতিনিধি সম্মেলন ও প্রকাশ্য সভায় থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি অতীশ সিংহ কাল্টু বলেন, “প্রায় ২০০০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেবেন। বহরমপুর শহরে ১০ হাজার কর্মীর একটি বাহিনী তৈরি করার কাজ চলছে।” সংগঠন মজবুত করা ও দলত্যাগ আটকাতে বহরমপুরের এই সাংগঠনিক মডেল সারা মুর্শিদাবাদে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে

জেলা কংগ্রেসের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

berhampur congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE