Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ছাত্র খুনের তদন্তে এবার পুলিশ সুপার

স্কুল ছাত্র খুনের তদন্তে পুলিশ সুপার নিজে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তাঁকেই ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া ওই নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নদিয়া শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৭
Share: Save:

স্কুল ছাত্র খুনের তদন্তে পুলিশ সুপার নিজে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তাঁকেই ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া ওই নির্দেশ দেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা সতেরো বছরের স্কুলছাত্র অতনু মণ্ডল খুন হয়। ৪ মার্চ জলঙ্গী নদী থেকে পাথর বাঁধা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে অতনুর খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে তার দুই সহপাঠী গ্রেফতার হয়। অভিযুক্ত ওই দু’জন বর্তমানে জামিনে মুক্ত। অতনুর বাবা অনিলবাবুর অভিযোগ, তাঁর ছেলের খুনের ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে জুন মাসে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনিলবাবু।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সেই সময় তদন্তকারী অফিসারকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেন। জুলাই মাসে বিচারপতি দত্তের আদালতে ওই রিপোর্ট জমাও পড়ে। বিচারপতি সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন নতুন রিপোর্ট পেশ করতে।

ইতিমধ্যে এই মামলা চলে যায় বিচারপতি পাথেরিয়ার আদালতে। এ দিন ওই মামলার শুনানি ছিল। সরকারি আইনজীবী বিচারপতি পাথেরিয়ার কাছে জেলা পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তুলে দেন। রিপোর্ট পড়ে বিচারপতি পাথেরিয়া সরকারি আইনজাবীকে বলেন, পুলিশ সুপার নিজেই জানিয়েছেন, তদন্তে তিনি সন্তুষ্ট নন।

অনিলবাবুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মীর আনোয়ার আদালতে জানান, পুলিশ সুপার নিজেই তদন্তে সন্তুষ্ট নন বলে জানাচ্ছেন।

বিচারপতি পাথেরিয়া সরকারি আইনজীবীকে বলেন, পুলিশ সুপার নিজে ওই ঘটনার তদন্ত করুন। বিচারপতির নির্দেশ, পুলিশ সুপার তদন্ত করে তিন সপ্তাহ পরে রিপোর্ট জমা দেবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE