তৃণমূলের তাড়া খেয়ে তৃণমূল সমর্থকরাই এখন ঘর ছাড়া। সৌজন্যে নব্য বনাম প্রাচীনের তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল।
জঙ্গিপুরের লালখান্দিয়ার গ্রামে গত চার দিন ধরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই লড়াই চলছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ফলে ফাঁপড়ে পড়েছে পুলিশও। কোনও পক্ষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে পারছে না তারা। ফলে এখনও কাউকে গ্রেফতারও করেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালখান্দিয়ার গ্রাম বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল কংগ্রেসের দখলে। যদিও তলে তলে তৃণমূলের রাজ্যকমিটির সদস্য শেখ ফুরকানের নেতৃত্বে অনেকেই তৃণমূলকে সমর্থন করতে শুরু করে।
এদিকে মাস খানেক আগে তৃণমুলের জঙ্গিপুর লোকসভার সভাপতি ও বিধায়ক ইমানী বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ইলিয়াস চৌধুরীর সমর্থকরা সদলবলে যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূলের দুই নেতার দুই গোষ্ঠীই চাইছে এলাকার কর্তৃত্ব নিতে। আর তা নিয়েই ঈদের পরের দিন থেকে শুরু হয়েছে দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্য বিবাদ।
সেখ ফুরকানের অভিযোগ, “গ্রামের ১০টি তৃণমুল সমর্থক পরিবারের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। বাড়িতে চড়াও হয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা সকলকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।”
জঙ্গিপুর তৃণমূলের সদ্য অপসারিত ব্লক সভাপতি চয়ন সিংহ রায় বলেন, “এরা দুর্দিনের তৃণমূল কর্মী। কংগ্রেসের দুর্গে এরা দল করেছেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। আজ তারাই গ্রাম ছাড়া। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া লোকজনের তাড়া খেয়ে। জানানো সত্ত্বে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।”
ইমানী বিশ্বাস অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “সিপিএম ও কংগ্রেসের মদতে ওরা গ্রামে অশান্তি পাকাতে চাইছে। বাঁচার জন্য তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছে। ওই গ্রামে ইলিয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে তৃণমুলের শক্তি বাড়ছে। তাঁর নেতৃত্ব মেনেই তৃণমূল করতে হবে সকলকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy