বিজেপি-র অভিনন্দন বার্তা। সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি।
ক্ষমতার টানাটানিতে নড়বড়ে দশা বেলডাঙা পুরসভার। চার কাউন্সিলরকে ভাঙিয়ে কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের এই পুরসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরে ভোটাভুটি না হওয়ায় কংগ্রেসই ক্ষমতায়। কিন্তু সেটা একান্তই খাতায়-কলমে। বাস্তবে কোনও কাজই হচ্ছে না পুরসভার। এই অবস্থায় আসন্ন পুরভোটকে পাখির চোখ করে বেলডাঙায় ঘর গোছাচ্ছে বিজেপি। শারদ শুভেচ্ছার পর নভেম্বরের ১৮ তারিখে এলাকার সব চেয়ে বড় উৎসব কার্তিক লড়াইকেও প্রচারের অঙ্গ করেছে তারা। শহরের বড় মোড়গুলিতে ‘ঐতিহাসিক কার্তিক লড়াইয়ে উপস্থিত প্রতিটি মানুষকে গৈরিক অভিনন্দন’ জানান হয়েছে ফ্লেক্স বোর্ডে। পুরনো কার্তিক লড়াইয়ের ছবির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বড় ছবি ছেপে বকলমে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি।
গত লোকসভা নির্বাচনে বেলডাঙা শহরের ১৪টি ওয়ার্ডের প্রাপ্ত ভোটে মোটের উপর দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। এর আগে ভোটে বিজেপি পুরসভার ১৪টির মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে লড়াই করেছিল। পুরসভায় বিজেপি-র কাউন্সিলর মাত্র এক জন। এবার কিন্তু ১৪টিতেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। এরই মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত ওয়ার্ডে নির্বাচনী বৈঠক শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নানা ভাবে প্রচার চলছে বিজেপি-র। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে চিত্র ও বার্তা সহকারে নিবার্চনী প্রচারপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে এলাকায়। আগামী ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় স্কুলে নতুন কর্মীদের নিয়ে হবে প্রশিক্ষণ শিবির।
তবে বিভিন্ন পুজো ও উৎসবকে ঘিরে বিজেপি-র প্রচারই এলাকায় সব চেয়ে বড় চমক। চলতি বছরে বিজয়া সম্মিলনী করে তারা এলাকায় সাড়া ফেলেছিল ভাল। আর এ বার প্রচারের অঙ্গ কার্তিক লড়াই। বেলডাঙায় কার্তিক লড়াই দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষও ভিড় করেন। তাঁদের নজর টানতে বড়-বড় ফ্লেক্স বোর্ড টাঙানো হয়েছে পুরসভার বিভিন্ন প্রান্তে। শহর বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক কথায় পাঁচ মাসের মধ্যে ভোট। হাতে খুব কম সময়। প্রচারের কোনও উপায়ই ছাড়ছি না আমরা।” শহর বিজেপি-র সভাপতি তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অলোক ঘোষ বলেন, ‘‘বর্তমান বোর্ডের উপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে। আসন্ন পুরভোটে আস্থা থাকবে আমাদের দলেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy