Advertisement
১৭ মে ২০২৪

পনেরোয় পা দিল করিমপুর বইমেলা

শুরু হল এবছরের করিমপুর বইমেলা। মেলা এ পনেরো বছরে পড়ল। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে ওই মেলা। চলবে রবিবার পর্যন্ত। সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত এলাকায় ওই বইমেলা এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। সোমবার বিকেলে করিমপুরে বর্ণাঢ্য পথযাত্রা দিয়ে মেলার শুরু হয়। অসংখ্য শিশু, মহিলা ও সাধারণ মানুষ তাতে যোগ দেন।

বইমেলায় সেজে উঠেছে স্টল। নিজস্ব চিত্র

বইমেলায় সেজে উঠেছে স্টল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৫
Share: Save:

শুরু হল এবছরের করিমপুর বইমেলা। মেলা এ পনেরো বছরে পড়ল। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে ওই মেলা। চলবে রবিবার পর্যন্ত। সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত এলাকায় ওই বইমেলা এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। সোমবার বিকেলে করিমপুরে বর্ণাঢ্য পথযাত্রা দিয়ে মেলার শুরু হয়। অসংখ্য শিশু, মহিলা ও সাধারণ মানুষ তাতে যোগ দেন।

মেলা উদ্যোক্তারা জানান, করিমপুরের ‘চেতনা সাহিত্য গোষ্ঠী’র সদস্যরা প্রথম ওই বইমেলার প্রস্তাব আনেন। তারপর এলাকার বেশ কিছু সাহিত্যপ্রেমী মানুষ ২০০০ সালে জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু করেন। তারপর যত দিন গিয়েছে বেড়েছে মেলার কলেবর। শেষে জায়গা না কুলানোয় স্কুল থেকে কিছুটা দূরে করিমপুর পাবলিক লাইব্রেরির পিছনে স্কুলেরই মাঠে মেলা স্থানান্তরিত করা হয়। বইমেলা কমিটির সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ বলেন, “এমন একটা প্রত্যন্ত জায়গায় বইমেলার চিন্তা মাথায় এলেও তা বাস্তবায়িত করা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু এলাকার কিছু সাহিত্যপ্রেমী মানুষ এগিয়ে আসায় তা সম্ভব হয়েছে।”

প্রতি বছরের মত এবারও মেলায় প্রায় ২৫ টি বইয়ের স্টল বসছে। উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রথম দিকে শুধুমাত্র কলকাতার বই প্রকাশনী সংস্থা স্টল দিলেও এখন বই বিক্রেতারাও স্টল দিচ্ছেন। মেলার মঞ্চে সাত দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান। দেশের এক একজন মনীষীদের নামে এক একটা দিন উত্‌সর্গ করা হয়েছে। বইমেলাই প্রতি বছরই ছোট পত্রিকা প্রকাশিত হয়। গত বছর তিনটি ছোট পত্রিকা প্রকাশ পেয়েছিল। এবছর ‘প্রত্যয়’ প্রকাশিত হবে।

গত ছয় বছর ধরে ওই মেলায় বই বিক্রি করতে আসছেন মুর্শিদাবাদের রতন সরকার। রতনবাবু বলেন, “বই বিক্রির হার খুব ভাল। তাই প্রতি বছরই হাজির হই।” মেলায় স্টল দিয়েছেন কলকাতা থেকে আসা শচীন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বইমেলা শুরুর সময় থেকেই আসছি। করিমপুরের মানুষ ভীষণ সংস্কৃতিসম্পন্ন। প্রচুর পাঠক বই কেনেন।” তাঁর কথায়, “শুধু কেনাকাটা নয় এলাকার মানুষের নম্র ব্যবহার আমাদের আসতে বাধ্য করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

book fair karimpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE