Advertisement
E-Paper

পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে বাড়তি ৩৯ পড়ুয়ার

বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় বসতে দিলেও হয়ত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন না চাপড়া ভক্তবালা বি এড কলেজের অতিরিক্ত ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ৩৯ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ‘মেথড’ পেপারে যাঁরা ওয়ার্ক এডুকেশন ও আর্ট এডুকেশন নির্বাচন করেছিলেন তাঁরা কেউই এই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০২:০৭

বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় বসতে দিলেও হয়ত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন না চাপড়া ভক্তবালা বি এড কলেজের অতিরিক্ত ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ৩৯ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ‘মেথড’ পেপারে যাঁরা ওয়ার্ক এডুকেশন ও আর্ট এডুকেশন নির্বাচন করেছিলেন তাঁরা কেউই এই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার অতিরিক্ত ৩৯ পড়ুয়ার বেশ কয়েকজন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের পছন্দের ‘মেথড’ বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, ওই ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী কে কোন বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন তা-ও স্পষ্ট করে জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে ওই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার সুযোগ পেলেও কী করে পরীক্ষা দেবেন সেটাই এখন প্রশ্ন। চরম অনিশ্চিয়তায় তাঁদের ভবিষ্যৎ। অনেকেই বলছেন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। আবার অনেকে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন, দ্বিতীয় মেথড পেপারে নিজেদের পছন্দের বিষয় না পেলে পরীক্ষা দেবেন না।

ভক্তবালা বি এড কলেজ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের দাবি, তাঁরা মেথড পেপারে পছন্দের বিষয় পাওয়ার জন্যও আলাদা টাকা দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে। ওয়ার্ক এডুকেশনের জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং আর্ট এডুকেশনের জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার দিতে হয়েছিল। তাঁরা জানতেন ওই বিষয়গুলি নিয়েই তাঁরা পরীক্ষা দেবেন। সেই মতো সারা বছর পড়াশোনা করেছেন। প্র্যাকটিস টিচিং-ও করেছেন। কিন্তু এখন জানতে পারছেন বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় মেথড পেপার হিসাবে ওয়ার্ক এডুকেশন বা আর্ট এডুকেশন বিষয়টি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভক্তবালা বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষ মোটা টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ফর্ম পূরণের সময় দ্বিতীয় মেথড পেপারের জায়গা ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন অমর বিশ্বাস। ছাত্রছাত্রীদের সন্দেহ অমরবাবু পরে নিজের ইচ্ছামতো বিষয় লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন। তবে কেউ কেউ অবশ্য অমরবাবুর কথা না শুনে দ্বিতীয় মেথড পেপার হিসাবে ‘ওয়ার্ক এডুকেশন বা আর্ট এডুকেশন’ লিখে দিয়েছিলেন। তাদের ক্ষেত্রে কীভাবে একই ঘটনা ঘটল তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। অনেকে বলছেন পূরণ করা ফর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর আগে তাঁদের পছন্দের বিষয় কেটে অন্য বিষয় লিখে দিয়েছে ভক্তবালা কলেজ কর্তৃপক্ষ। অথচ এই ছাত্রছাত্রীরা সারা বছর কিছু না জেনেই পড়াশোনা করেছেন ওই বিষয় নিয়েই। এখন তাঁরা চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায়।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যলয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যেহেতু ওই কলেজের ১০০ জন বৈধ ছাত্রছাত্রীর মধ্য ২৫ জনের দ্বিতীয় মেথড পেপার ওয়ার্ক এডুকেশন আছে তাই আর নতুন করে কাউকে ওই বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া সম্ভব নয়।’’ কিন্তু পরীক্ষার ঠিক আগের মুহূর্তে বিষয় বদল হলে পরীক্ষা দেওয়াই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা।

নন্দিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন আমরা কেউ দ্বিতীয় মেথড পেপার হিসাবে ওয়ার্ক এডুকেশন বা আর্ট এডুকেশন বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারব না। কিন্তু সেটা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। ওয়ার্ক এডুকেশন বিষয়ে পরীক্ষা দিতে না দিলে আমি পরীক্ষায় বসতে পারব না।’’ আর এক ছাত্রী বনানী বল বলেন, ‘‘পরীক্ষা ৭ তারিখে। এখনও কে কোন বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারব সেটাই পরিষ্কার করে জানি না। তাহলে পরীক্ষার দু’দিন আগে ইতিহাস বা এডুকেশনের মত একেবারে নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করে কী ভাবে পাশ করব। কিছুই বুঝতে পারছি না। বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখি কি হয়।’’

kalyani university bhaktabala B ed college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy