জল নেই মাঠে। বিদ্যুতের অভাবে গভীর নলকূপ থেকে জল তোলার পাম্পও কাজ করছে না। ফলে সাগরদিঘি ও রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের ৬ হাজার হেক্টর বোরো ধান জলের অভাবে শুকিয়ে যেতে বসেছে মাঠে। বেশিরভাগ জমিতেই ধানে এখন থোড় এসেছে। এই সময় জমিতে জল না থাকলে ভাল ধান হওয়া কঠিন। চাষিদের অভিযোগ, দিনের মধ্যে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুত্ থাকছে না। যেটুকু সময় বিদ্যুত্ থাকছে তা-ও লো ভোল্টেজ। ফলে পাম্প চালানো যাচ্ছে না। অথচ, এই সময় ২-৩ দিন অন্তর জমিতে জল দিতে হয় বলে জানাচ্ছেন জঙ্গিপুর মহকুমা কৃষি আধিকারিক বিদ্যুত্ বর্মন। তাঁর কথায়, “জল না পেলে ধানের থোড় দানা বাঁধে না। রোদের যা তাপ তাতে জলের প্রাচুর্য না থাকলে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে।”
চাষিদের বক্তব্য, পরিস্থিতি এখনই যথেষ্ট সঙ্কটজনক। সাগরদিঘি ব্লকের মথুরাপুরের চাষি এক্রামুল হক বলেন, ‘‘গ্রামের মাঠেই আমার একটি মিনি ডিপ রয়েছে। প্রায় ৪০ বিঘে জমিতে জল দেওয়া হয় সেখান থেকে। বিঘে প্রতি ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার চুক্তিতে চাষিদের প্রয়োজন মতো জল দেওয়ার কথা। কিন্তু বিদ্যুত্ না থাকলে জল পাব কোথা থেকে। চাষিদের সামনে গেলেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই জমির কাছে ঘেঁষছি না এখন।”
সাগরদিঘিতে ১৫০ জন চাষির স্থায়ী বিদ্যুত্ সংযোগ রয়েছে গভীর নলকূপে। ৩০০ জনকে দেওয়া হয়েছে ১০৫ দিনের জন্য অস্থায়ী বিদ্যুত্ সংযোগ। এর পরেও প্রায় তিনশো থেকে চারশো লোক হুকিং করে অবৈধ ভাবে জল তুলছে বলে অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যও বিদ্যুত্ দফতরকেই দুষছেন চাষিরা।
সাগরদিঘি বিদ্যুত্ সাব-স্টেশনের সহকারি বাস্তুকার অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, “সাগরদিঘি থেকে নবগ্রামে বিদ্যুত্ সরবরাহের যে লাইন রয়েছে সেটা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজ সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy