Advertisement
E-Paper

ভোট ভাল হয়েছে, দাবি সিপিএমের

নদিয়ার তৃণমূলের বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল সিপিএম। নির্বাচন কমিশনের কাছে সিপিএমের অভিযোগ, কল্লোলবাবু কোনও বৈধ প্রমাণপত্র ছাড়াই নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রের বাইরে অন্য বিধানসভার বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এস এম সাদি বলেন, “আমাদের কাছে কল্লোলবাবুর বুথে ঢোকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তিনি নাকাশিপাড়ার বিধায়ক হয়ে পলাশীপাড়ার বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন।

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০১:৪১

নদিয়ার তৃণমূলের বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল সিপিএম। নির্বাচন কমিশনের কাছে সিপিএমের অভিযোগ, কল্লোলবাবু কোনও বৈধ প্রমাণপত্র ছাড়াই নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রের বাইরে অন্য বিধানসভার বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এস এম সাদি বলেন, “আমাদের কাছে কল্লোলবাবুর বুথে ঢোকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তিনি নাকাশিপাড়ার বিধায়ক হয়ে পলাশীপাড়ার বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কল্লোল খাঁ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলকে হেয় করার জন্য এমন মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” নদিয়া জেলায় প্রায় ১৪৬টি বুথে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা রিগিং ও ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বলে জেলা কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “গয়েশপুর পুরসভার প্রায় ৬৫টি বুথে গায়ের জোরে কার্যত কোনও ভোটই করতে দেয়নি তৃণমূল।” তাছাড়াও নদিয়ার রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের চাপড়া বিধানসভার দেগবেড়িয়ার বেশ কয়েকটি বুথে যথেচ্ছ ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ সুমিতবাবুর। সোমবার দিনভর কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ার জেলা পার্টি অফিস থেকে বিভিন্ন বুথের ভোটে নজর রাখছিলেন সুমিতবাবু ও সাদি সাহেবরা। পার্টি অফিস থেকে নিয়মিত ফোন করা হচ্ছিল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্টির কর্মীদের। রানাঘাট ও বনগাঁ লোকসভা থেকে যত অভিযোগ জেলা পার্টি অফিসে আসছিল, তত অভিযোগ অবশ্য কৃষ্ণনগরে ছিল না। কৃষ্ণনগরের ভোট দেখে খুশি সুমিতবাবুরা। তাঁদের ধারণা, এখানে তাঁদের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। প্রতিটি বুথ থেকেই ভাল ‘ফিডব্যাক’ পেয়েছেন তাঁরা। জোনাল এবং লোকাল কমিটির নেতারাও ‘ভোট ভাল হয়েছে’ বলেই আশ্বাস দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট তাঁরা দলের রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছেন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র, শান্তিপুর ও চাকদা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ততটা আশাবাদী নন সুমিতবাবুরা। জেলা কন্ট্রোলরুমে যত ফোন এসেছে তার বেশিরভাগই রানাঘাট থেকে। সেখানে কর্মীরা নেতাদের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিং, ছাপ্পাও বুথ দখলের ঘটনার খবর জানিয়েছেন।

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের দুটি বিধানসভা নদিয়া জেলায় পড়ে। হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তেমন অভিযোগ না এলেও কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অভিযোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিযোগের কথা বিস্তারিতভাবে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা পর্যবেক্ষককে জানানো হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার পি বি সালিম কল্যাণীতে গিয়েছিলেন। সিপিএমের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন যদি সক্রিয় হত তাহলে ফল অনেকটাই ভাল হত।

dibakar roy cpm krishnanagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy